বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সমুদ্রে নিরাপদে নামার জন্য সবার জন্য জরুরি সতর্কবার্তা প্রদান করেছে। রবিবার (২৪ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এই সতর্কবার্তায় বলা হয়, সমুদ্রের সবচেয়ে বিপজ্জনক এলাকা হলো লাল পতাকা দ্বারা চিহ্নিত জায়গা। এইসব স্থানে পানিতে নামা সম্পূর্ণ নিষেধ।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিরাপদ সমুদ্রসীমার মধ্যে থাকাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে লাইফগার্ডের সেবা বিদ্যমান। এই ধরনের নিরাপদ স্থান ছাড়া অন্য কোথাও পানিতে নামা যাবে না, কারণ এই সীমার বাইরে ডুবে গেলে সাহায্য পাওয়া অনেক কঠিন।
পর্যটকদের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিচকর্মী ও লাইফগার্ড সবসময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। সতর্কবার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, পানিতে নামার আগে অবশ্যই জোয়ার-ভাটার অবস্থান ও সাগরের বিপদ সংকেত সম্পর্কে জানা জরুরি। এছাড়াও, প্রতিকূল আবহাওয়া থাকলে বা ভাটার সময় সাগরে না যাওয়াই ভালো।
সাঁতার জানা না থাকলে সাগরে নামা এড়াতে বলা হয় এবং সব হোটেল, গেস্টহাউজ ও রিসোর্টকে নিশ্চিত করতে হয়েছে যে, পর্যটকদের জন্য লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ বা ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। লাইফগার্ডদের জন্য টিউব বা অন্য অপ্রয়োজনীয় উপকরন ব্যবহার না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিশুদের সর্বদা তত্ত্বাবধানে রাখার পাশাপাশি তাদের মোবাইলে ছবি সংরক্ষণ করার জন্য বলা হয়েছে।
সৈকত এলাকায় অপ্রাপ্তবয়স্ক বা শিশু নিয়ে গেলে তাদের ছবি মোবাইলে রাখতে হবে। একই সঙ্গে, পানির তীব্র স্রোত, ঘূর্ণি স্রোত, উল্টো স্রোত ও নিম্নমুখী প্রবাহ বিপজ্জনক। বালি সরে গিয়ে ক্ষুদ্র বা বড় গর্ত তৈরির সম্ভাবনা থাকায়, এগুলোর কাছ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
অপ্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে, কারণ এতে উদ্ধারকারীর জীবনঝুঁকি বাড়ে। এটি আরও নিরাপদে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বোপরি, সাগরআঁকানো সব ধরনের বিপদসংকেত মানা এবং সতর্কতা অবলম্বন করাই সমুদ্রে নিরাপদ থাকার একমাত্র উপায়। এই নির্দেশনা মানলে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি জীবন ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
আজকের খবর/ এমকে