বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “দুর্ভিক্ষ আসলে সরকারের উপদেষ্টারা দু’একটি স্থানেঃ হাঁস খেতে পারবেন, কিন্তু সাধারণ মানুষ তা পারেনা।” গত রোববার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জিয়া পরিষদের পক্ষ থেকে রিকশা ও ভ্যান চালকদের মাঝে বৃষ্টির পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী এই সময় বলেন, ৫ আগস্টের পরে যে অর্জন হয়েছে, সেগুলো ধরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, ছোটখাটো মতানৈক্য সৃষ্টি করে ১৫-১৬ বছরব্যাপী দুর্বিষহ সময় ফিরে আসার অপেক্ষা করছেন না, বরং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে যেন হাসিনার পরিবারের রাজত্ব পুনরায় প্রতিষ্ঠিত না হয়।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বললেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। সরকারের আন্তরিকতার অভাব নয়, তবে দ্রব্যমূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও কর্মসংস্থান তৈরি হয়নি। দিন দিন কলকারখানাগুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।” তিনি মনে করেন, কর্মসংস্থান না থাকলে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা তৈরি হবে। রিজভী দৃঢ়ভাবে মন্তব্য করেন, “তোমাদের উপদেষ্টারা দু’এক জায়গায় হাঁস খেতে পারেন, কিন্তু সাধারণ মানুষ পারবে না। মানুষের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য নিয়ে রাজনীতি চলতে পারে না। সরকারকে অবশ্যই কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে।”
এছাড়াও, তিনি জানান, জুলাই মাসের জন্য সুপারিশ আসবে, যেখানে যদি আইন বা সংবিধান সংশোধনের দরকার হয়, তা নির্বাচিত সংসদই করবে। তিনি সমালোচনামূলক ভাষায় বলেন, “একটি দল বলছে, আগে গণভোট দিতে হবে। কেন? যদি সংবিধানের মূলনীতির পরিবর্তন করতে হয়, তা নির্বাচনপ্রধান সরকারেরই করতে হবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, যদি সরকার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভবিষ্যতের নির্বাচনে হুমকি সৃষ্টি হতে পারে।
রেইনকোট বিতরণ অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, যিনি জিয়া পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি, সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, জিয়া পরিষদের মহাসচিব প্রফেসর ড. এমতাজ হোসেন, কৃষিবিদ মনোয়ারুল ইসলাম এনাম, প্রকৌশলী মো. শরীফুজ্জামান খান শরীফ, প্রফেসর ড. মো. নেসার উদ্দিন তালুকদার, প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব নূরনবী খান, শেরেবাংলা থানা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর রেজা, সহসভাপতি এস এম কবির, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নেতারা।
আজকের খবর / এমকে