জুলাই মাসের আন্দোলন ও সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে হাজারো বন্দি পালানোর ঘটনা ঘটে। কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন জানিয়েছেন, এখনও প্রায় সাতশতাধিক বন্দি পালিয়ে রয়েছেন, যার মধ্যে অর্ধশতাধিক জঙ্গি রয়েছে। তিনি মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলছেন, শুরুতেই প্রায় ২২শ’ বন্দি পালিয়েছিলেন, তবে বর্তমানে বসে থাকার সংখ্যাটি ৭০০ ছাড়িয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের সাজা মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এছাড়া, কারাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে এখনও ২৯টি অস্ত্র উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছেন মহাপরিদর্শক।
তিনি উল্লেখ করেন, কারাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন অস্ত্র সংগ্রহের পরিকল্পনা চলছে। লুট হওয়া অস্ত্রগুলো উদ্ধার এবং পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তবে গত এক বছরে কারাগারে কোনও হত্যার ঘটনা ঘটেনি। তবে বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে, কিছু বন্দির মধ্যে জীবন নেওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে, তবে নতুন বছরেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
পালিয়ে যাওয়ার এই ঘটনাগুলি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে ঘটে, এর ফলে বাংলাদেশে দীর্ঘ দিন ধরে চলমান আওয়ামী লীগ শাসনের অবসান হয়। সেই সময়ে সারাদেশে বিশাল ধরনের ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে, ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে একযোগে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার, সাতক্ষীরা, শেরপুর, কুষ্টিয়া ও নরসিংদী কারাগার থেকে দুই হাজারের বেশি বন্দি পালিয়ে যায়।
পলাতক Prisoners নানান ধরনের অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত, যেমন রাজকারে যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি; পাশাপাশি চার্চে সংগঠিত জঙ্গি সংগঠনের কারারক্ষীরা। অনেকে আবার গ্রেপ্তার হয়েছেন বা স্বেচ্ছায় ফিরে এসেছেন; তবে বেশিরভাগ এখনো ধরা থেকে বঞ্চিত।