যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনসুলেটে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। ওই সময় কনসুলেটের সামনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন কর্মী ও সমর্থক, যারা তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে হেনস্তার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি ঘটে রবিবার সন্ধ্যায়, স্থানীয় সময়।
প্রায় এক বছর আগে অনুষ্ঠিত জাতীয় গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ওই দিন বাংলাদেশ কনসুলেটে এক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য উপদেষ্টা। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে মাহফুজ আলম যখন কনসুলেট ভবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছিলেন, তখন সেখানে থাকা দলীয় কর্মীরা পতাকা হাতে গিয়ে দলের নানা স্লোগান দেন এবং মাহফুজ আলমকে উদ্দেশ্য করে ডিম ছুড়ে মারেন। এর জেরেই কনসুলেট ভবনের কাচের দরজা ভেঙে যায়।
অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য উপদেষ্টা, যিনি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কারণে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, “প্রবাসীরা এ দেশের অবদান অস্বীকার করা সম্ভব নয়। আমরা চাই ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসবে, তারা জুলাই আন্দোলনের মূল্যবোধকে ধারণ করে দেশ পরিচালনা করবেন।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “একটি দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। দেশ ও দেশের জনগণের প্রতি সর্বোচ্চ অগাধ প্রেমের সঙ্গে নিজেদের রাজনৈতিক চেতনাকে উপরে রাখতে হবে।”
এছাড়া ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আসা বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, “এক সময় দেশের শাসনব্যবস্থা ছিল পুরোপুরি রাজতান্ত্রিক, কিন্তু ছাত্রজননেতাদের রক্তের বিনিময়ে সেই শাসন ব্যবস্থা পতনের মুখ দেখে। এখন মাহফুজ আলমের পতনের জন্য তারা নানা কটাক্ষ ও অভিযোগ করছেন, যা স্বাভাবিক।”
এই ঘটনাগুলোর মাধ্যমে প্রবাসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক চিত্র ও জনগণের আন্দোলনের জোরালো প্রতিফলন দেখা গেল।