কক্সবাজারের টেকনাফ পৌর শহরের শাপলা চত্বরে সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবের দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ইয়াছিন আরাফাতের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ক্যাপচার হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, সন্ত্রাসীরা আসামিদের ধাক্কাধাক্কি ও হামলার ঘটনাকে নির্মমভাবে ঘটাচ্ছে।
এদিকে, একই সময়ে হ্নীলা স্টেশনে একটি পরিবারের সঙ্গে বিবাদে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রেজাউল করিম মেম্বারের নেতৃত্বে নিউট্রাল যুবদল নেতা নুরুল হুদা ও শহরে জনপ্রিয় ছাত্র আন্দোলনের তিন শিক্ষার্থীর উপর দুর্বৃত্তরা অতর্কিত হামলা চালায়। ঠিকই এই ঘটনাটি মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত ১টার দিকে টেকনাফ পৌর শহরের শাপলা চত্বর ও হ্নীলা ইউনিয়নের হ্নীলা বাজার এলাকায় ঘটে।
জুলাই মাসে ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে ছাত্র নেতা মোর্শেদুল আলম বলেন, রাতের ঘটনায় সন্ত্রাসীদের ভাঙচুর ও ধাক্কাধাক্কির ভিডিও ধারণ করতে গেলে ইয়াছিন আরাফাতের ওপর হামলা করা হয়। এছাড়া একই সময়ে হ্নীলা স্টেশনে একটি বিচারকে কেন্দ্র করে রেজাউল করিমের পরিবার নুরুল হুদা, সায়েম, আল ফাহাদ ও মুহিবুল্লাহের উপর হামলা চালায়।
তিনি আরও জানান, আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ ধরনের সহিংসতা ক্রমশ বাড়ছে, বিশেষ করে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বলেন, পুলিশ সারা রাত অভিযান চালাচ্ছে এবং বিষয়টির সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ পাচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মানবাধিকার সংগঠন ও স্থানীয় নাগরিকরা দোষীদের দ্রুত শাস্তি দাবি করেছেন। নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য জনপ্রতিনিধিরাও উদ্বিগ্ন।