বিএনপি নেতা ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে দলীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলের সব পর্যায়ের পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
বিএনপির একটি নিশ্চিত সূত্র জানায়, গত ২৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ফজলুর রহমানের নামে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। তবে তিনি ওই নোটিশের লিখিত জবাব না দিয়ে সময় চাইলে, তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট তারিখে ২৪ ঘণ্টা সময় বাড়ানো হয়। এরপর আজ (২৬ আগস্ট) তিনি যে লিখিত জবাব দিয়েছেন, সেটি দলীয় বিদ্বেষ বা অসন্তোষজনক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে তাঁর মুক্তিযুদ্ধে অবদানের কথা বিবেচনা করে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া না হলেও, তার প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব দপ্তর তিন মাসের জন্য স্থগিত থাকবে।
নোটিশে আরও বলা হয়, এখন থেকে তিনি টকশো কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলার সময় দেশের মর্যাদা, দলের নীতিমালা ও দেশের ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান করতে সতর্ক থাকবেন। এই সিদ্ধান্তে দলের ঐক্য ও দুর্বার আন্দোলনের স্বার্থে কঠোর শৃঙ্খলা মান্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে যে, এই সিদ্ধান্ত নেতৃবৃন্দের আদেশ অনুযায়ী গ্রহণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।