২০২২ বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিলের ঘরের মাঠে শেষ বাছাই ম্যাচটি ছিল ঐতিহাসিক মারাকানায়। সেখানে গত মঙ্গলবার তারা চিলির বিপক্ষে দুর্দান্ত একটি জয় দিয়ে ম্যাচের আনন্দে ভরিয়ে তুলেছে নিজস্ব ক্রীড়াঙ্গন ও দেশকে। কিংবদন্তি কোচ কার্লো আনচেলত্তির পরিকল্পনায় এই ম্যাচটি অনন্য হয়ে উঠেছে, কারণ এটি পূর্বের এক ম্যাচের পুনরাবৃত্তি। ২০১৫ সালে একই ভেন্যুতে চিলির বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছিল ব্রাজিল। এবারও সেই একই ফলাফলে জয় পাওয়ায় মনে হচ্ছে, ব্রাজিলের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে।
ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে স্বাগতিক ব্রাজিল। বলের দখল নেয় ৬৪ শতাংশ, দৌড়ঝাঁপ ও আক্রমণে তারা ছিলেন অসাধারণ। সর্বমোট ২২টি শটের মধ্যে ৭টি লক্ষ্যে ছিল, যেখানে চিলির কিপার শুধু তিনটি শটই লুফে নিতে পেরেছে। শুরু থেকেই ব্রাজিলের আক্রমণ ঝরঝরে, পঞ্চম মিনিটে ক্যাসেমিরো হেডে গোল করার চেষ্টা করেছিলেন, যা অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। তবে ৩৭ মিনিটে জোয়াও পেদ্রো, সান্তোসের সুন্দর দলীয় আক্রমণে রাফিনিয়ার শট প্রতিরোধে চিলির গোলরক্ষক ব্যর্থ হন। সেদিনের ম্যাচের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত ছিল, যখন তরুণ তারকা এস্তেভাও গুইমারেস ১৭ বছর ৪ মাস বয়সে ব্রাজিলের জন্য গোল করেন। তিনি পেলে পরে সবচেয়ে কনিষ্ঠ ব্রাজিলীয় গোলদাতা হয়ে ওঠেন।
প্রথমার্ধের শেষ সময়ে মারিপানের লাল কার্ডে চিলির জন্য এটি এক বড় ধাক্কা ছিল, তিনি ওয়েসলিকে ফাউলের অপরাধে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। বিরতির পর আনচেলত্তি বেশ কিছু পরিবর্তন করেন, যাতে দ্রুতই দলের গতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান। ব্যাপক উপস্থিতিতে বদলি খেলোয়াড় লুইস হেনরিকের হেডে দ্বিতীয় গোল আসা মানে, চিলির প্রতিরোধ এখন আর তেমন কাজ করছে না। গোলের জন্য মরিয়া চিলি খুব বেশি সুযোগ পায়নি, শুধু কিছু শটই নকল করতে সক্ষম হয়।
চিলির বিপক্ষে এই জয়ে ব্রাজিলের মোট ম্যাচের জয়ের সংখ্যা এখন ৫২, যেখানে তারা ইতিমধ্যে সবচেয়ে বেশি জয়ী দল হিসেবে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। এই জয়ের ফলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি আরও সজোরে শুরু করতে পারবে তাদের দল। দর্শকদের মাঝে আনন্দের ঝরনাএর মধ্যেই শেষ হয় এই ঐতিহাসিক ম্যাচ, যা ইতিহাসের পাতায় নতুন করে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।