ইসরায়েল পশ্চিম তীরকে তার মানচিত্রে যুক্ত করলে আরব দেশগুলোর সাথে স্বাভাবিক সম্পর্কের সমস্ত সুযোগ হারানোর আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন সৌদি যুবরাজ ও দেশের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান। এর আগে, এই বিষয়ে স্পষ্ট সতর্কবার্তা দিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। সংবাদমাধ্যম কান নিউজের প্রতিবেদনে জানা যায়, ইসরায়েলি দৃষ্টিতে পশ্চিম তীরের দখল নিয়ে আলোচনা চলাকালে সৌদি যুবরাজ এই মন্তব্য করেন।
মূলত, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিষয়ে আবুধাবির কঠোর অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছে রিয়াদ। ২০২০ সালে, পশ্চিম তীরের নতুন দখলের পরিকল্পনা স্থগিতের শর্তে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইনসহ কিছু দেশ ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে। অন্যদিকে, ইসরায়েল একের পর এক পরিকল্পনা করছে পশ্চিম তীরকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করার।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে দলের একজন অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, পশ্চিম তীরের বেশিরভাগ এলাকাকে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের আওতায় নিয়ে আসা হবে, শুধু কিছু ছোট এলাকা বাদে। তার ভাষ্য, এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাকে চিরতরে অন্ধকারে ঠেলে দেয়া।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সাথে সংযুক্ত করার জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার জোটের অন্যান্য দল উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।
প্রায় ছয় দশক আগে, ১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর দখল করে ইসরায়েল। এরপর ১৯৯০-এর দশকে, অসলো অ্যাকর্ডের আওতায় অঞ্চলটিকে তিন ভাগে ভাগ করে ফেলার পরিকল্পনা করা হলেও, সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি। গত তিন দশকে পশ্চিম তীরের অধিকাংশ অংশই ওই তিন ভাগে বিভক্ত অবস্থায় রয়ে গেছে। আজকের পরিস্থিতিতে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ইসরায়েল পশ্চিম তীরের সার্বভৌমত্বের অধিকাংশ এলাকাকে নিজের বলে আনতে চাইছে।