কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বিজিবির বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মানব পাচার চক্রের হাত থেকে দুটি কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় একজন মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে, যিনি অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। উদ্ধারকৃতরা হলেন, কক্সবাজারের লাল দিঘির পাড় এলাকার বাসিন্দা মো. মাহিম (১৫) ও একই এলাকার মো. সোহেল (১৬)।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেরুনতলী এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান।
আটক রোহিঙ্গা যুবক হলেন, উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-১৩ ব্লকের বাসিন্দা ছৈয়দ আলমের ছেলে মো. রাসед (১৮)। এ সময় এক ব্যক্তি সুকৌশলে পালিয়ে গেছে। তিনি হলেন, টেকনাফ সদরের বরইতুলী এলাকার বাসিন্দা মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে নুর হাসান (৩০), যিনি মূল মানব পাচারকারী।
লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, সম্প্রতি টেকনাফের সীমান্তে এক সংঘবদ্ধ মানব পাচার চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই খবরে বিজিবি গোয়েন্দা নজরদারি আরও শক্তিশালী করে। সোমবার সন্ধ্যায়, নাফ নদী দিয়ে মানব পাচার চেষ্টা চলছে—এমন তথ্য পেয়ে বিজিবি দলগুলো অভিযান চালায়।
অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কয়েকজন সন্দেহভাজন চোরাকারবারি পালানোর চেষ্টা করেন। ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করতে সক্ষম হয় বিজিবি, তবে অন্যরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে দুই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। তাদের সঙ্গে থাকা জানানো হয়েছে, এই ব্যক্তিরা সক্রিয় মানব পাচার চক্রের সদস্য।
আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং উদ্ধার হওয়া দুই কিশোরকে তাদের স্বজনের কাছে হস্তান্তর করতে সোমবার রাতেই তাদের টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
— আজকের খবর/ এমকে