আজ (৯ সেপ্টেম্বর), কাঠমান্ডু সময় বিকেল তিনটায় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ফেরার ফ্লাইট ছিল। সাধারণত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের আগে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকতে হয়। কিন্তু এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত, বাংলাদেশ দল এখনও হোটেল থেকে বেরিয়ে বিমানবন্দরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে তারা রওনা দিতে পারছে না।
বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকা সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, এখন কাঠমান্ডুতে ব্যাপক অচলাবস্থা চলছে। পথে আন্দোলন ও প্রতিবন্ধকতার কারণে বাংলাদেশ দলকে নিরাপদে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তারা প্রটোকল অনুসারে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গেই থাকতে পারছেন। তিনি উল্লেখ করেন, অ্যারপোর্টও সম্ভবত বন্ধ হয়ে গেছে। ফুটবলাররা হোটেলে বিশ্রাম নিচ্ছেন এবং নিরাপদে আছেন।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্ট এবং ঢাকার বাফুফে এখনই দেশের জন্য ফেরার আর tenté করছে। তারা নেপাল ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।
সকালেই দলটির টিকিট নিশ্চিত হওয়ার পর, বাংলাদেশ দল হোটেল থেকে চেক আউট করে বাইরে আসার প্রস্তুতি নিয়েছিল। বর্তমানে জামালরা হোটেল লবিতে লাগেজ নিয়ে অপেক্ষা করছে। তবে আজকের নির্ধারিত ফ্লাইটে উপস্থিত থাকতে পারবে কি না, এই ব্যাপারে এখন সন্দেহ দেখা দিয়েছে। নেপাল পরিস্থিতির কারনে আজ কাঠমান্ডুতে খেলা বাতিল হয়েছে। এই বিষয়ে বাংলাদেশ দল আগামীকালকের জন্য নতুন টিকিট রিজার্ভ করেছে।
আগামীকালের ফ্লাইটে উপস্থিত না হলে এবার আবার ৩৩টি নতুন টিকিট সংগ্রহ করতে হবে বাফুফেকে। খেলাটি বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশ দল আজই ফিরে আসার পরিকল্পনা করেছিল, তবে পরিস্থিতির কারণে সেটাও সম্ভব হচ্ছে না। যদি তাদের আজ থাকতে হয়, তবে এর জন্য আরও নতুন ব্যবস্থা নিতে হবে।
এখনকার পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ দলের ফিরে আসার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনিশ্চয়তার মধ্যে। এই অচলাবস্থা কাটিয়ে দ্রুত সমাধানে mọi সহযোগিতা ও উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।