দোহায়, কাতারের রাজধানীতে ইসরায়েলি হামলার ঘটনা শুধুমাত্র একটি সামরিক অভিযান নয়, এটি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং আরও একটি সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, ইসরায়েল এখন আর কোনো ‘রেড লাইন’ বা চূড়ান্ত সীমারেখা মানতে রাজি নয়। দেশটি নিজের শক্তি প্রকাশে এগিয়ে যাচ্ছে এবং যে কোনও জায়গায় আঘাত হানার ক্ষমতা রাখে বলে মনে করছে।
একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘কারোরই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস নেই। যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অভিযোগ আসে যে, ইসরায়েল সীমা অতিক্রম করেছে, তখন তারা শুধুই আশ্বাস দেয় যে এ ধরনের ঘটনা আর হবে না। কিন্তু বাস্তবে বারবার এই অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হচ্ছে।’
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও আলজাজিরার প্রতিবেদক আলি হাসেম উল্লেখ করেন, ‘সিরিয়ায় আসাদ সরকার পতনের পর সেখানে ইসরায়েলের জন্য কোন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকেনি। তবে তবুও ইসরায়েল প্রতিদিন সেখানে হামলা চালাচ্ছে। এখন সেই একই পরিস্থিতি কাতারেও দেখা যাচ্ছে।’
তাঁর মতে, এটি ইসরায়েলির সামরিক কৌশলে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি বা নীতির প্রকাশ। প্রধানমন্ত্রীর বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘোষিত নীতির সঙ্গে এই অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে—‘প্রথমে আঘাত করো, প্রথমে হত্যা করো’। অর্থাৎ, প্রতিপক্ষ হুমকি হিসেবেও দেখা হোক বা না হোক, সন্দেহের ভিত্তিতে আক্রমণ চালানো হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই দৃষ্টিভঙ্গি মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে এক নতুন বাস্তবতা সৃষ্টি করবে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে আরও বেশি বিস্তার লাভ করতে পারে।