যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট দাবি করেছেন যে, ইসরায়েলের হামলার বিষয়টি কাতারকে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল। তিনি বলেন, মঙ্গলবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে, “ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু পূর্বেই এই হামলার সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন। নেতানিয়াহু জানান, তিনি শান্তি চান এবং তা দ্রুত সম্পন্ন করতে ইচ্ছুক। এ কারণে আমাদের কাছে এ ব্যাপারটি আগে থেকেই স্পষ্ট ছিল। নেতানিয়াহুর সঙ্গে সংলাপের পর, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্টিফ উইটকফের মাধ্যমে দোহাকে এ হামলার বিষয়ে সতর্ক করে দেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরে কাতারেও সতর্কবার্তা পাঠান, যা কাতারে অবস্থিত মার্কিন সেনা ঘাঁটির মাধ্যমে পৌঁছে যায়। হামলার পরে ট্রাম্প টেলিফোন করে কাতারীয় নেতাদের জানিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা কাতারের জায়গায় ঘটবে না।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একান্ত বিশ্বাসযোগ্য মিত্রের মধ্যে কাতার অন্যতম। সেখানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যস্ততাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর কাজ করছে।
গাজার যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নিতেও কাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সম্প্রতি, ট্রাম্প গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের কাছে একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠান। সেই প্রস্তাব নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহায় বৈঠকেও বসেন হামাসের শীর্ষ নেতারা।
কিন্তু ঠিক এই সময়, ইসরায়েল তাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানায়, হামাসের শীর্ষ নেতা ও মুখপাত্র খলিল আল হায়া ও জাহের জাবারিনকে হত্যার জন্য এ হামলা চালানো হয়। তবে, এই অভিযান সফল হয়নি; তবে গতকালের হামলায় অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫ জন হামাসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিহতের মধ্যে কোনো উচ্চপদস্থ নেতা নেই।
বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে ক্যারোলিন লিভিট বলেন, “হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্য মার্কিন ও ইসরায়েলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু দোহার কাছে ইসরায়েলের হামলা এ লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে না।”