মুক্তিযুদ্ধের পর এই প্রথম রায়েরবাজারে একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের নেতারা, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। সূত্রের খবর, এটি এবারই প্রথম যখন শিবিরের কোনো নেতাকর্মী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
এর আগে ডাকসুর নেতারা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ১৯৭১ সালের ২৪ শে ডিসেম্বরের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের গণকবরে। নেতারা বলেন, ১৯৭১ ও ১৯৭৪ সালে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা তারা ধারণ করে এগিয়ে যেতে চান।
সদ্য নির্বাচিত ডাকসু ভিপি সাদিক কায়ম বলেন, ”যেভাবে জুলাই মাসে আমরা কাজ করেছি, সেভাবেই আমরা ঢাবি থেকে আমাদের গণতান্ত্রিক বার্তা সর্বত্র পৌঁছে দিতে চাই।” তিনি আরও বলেন, ”শহীদরা আমাদের প্রেরণার বাতিঘর। তাদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা নতুন করে জাগিয়ে তুলতে ও বাস্তবায়নের জন্য আমরা চেষ্টা করব।”
ডাকসু জিএস এহসান ফরহাদ বলেন, “বিজয়টা ছাত্র শিবিরের বিজয় নয়, শিক্ষার্থীদের বিজয়। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের কল্যাণ করা। এছাড়াও, হিজাব নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া গুজব ছড়াচ্ছে, তার বিরুদ্ধে সতর্কতা জানিয়েছেন নেতারা।”
প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধের পর রায়েরবাজারের প্রথম পরিচিতি ছিলো বধ্যভূমি হিসেবে। যেখানে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মরদেহ পাওয়া যায়। এরপর ১৯৯৬-১৯৯৯ সালের মধ্যে সেখানে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর, ১৪ ডিসেম্বর রায়েরবাজারের একটি নিচু এলাকায় হাজার হাজার বুদ্ধিজীবীর মরদেহ আবিষ্কার হয়। এই স্থানটি পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের গণহত্যার এক ভয়াবহ দৃষ্টান্ত।
এই ঐতিহাসিক বধ্যভূমির স্মৃতি রক্ষা এবং অনুশীলনের জন্য ১৯৯৬ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়, যা ১৯৯৯ সালে সম্পন্ন হয়।
আজকের খবর/ এমকে


















