ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরে নতুন বসতি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন, যা ভবিষ্যতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের গঠনকে অনিশ্চয়তার মুখে ফেলতে পারে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জেরুজালেমের পূর্বে অবস্থিত মালের আদুমিম বসতিতে এক অনুষ্ঠানে নেতানিয়াহু বলেন, আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রাখছি—কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র থাকবে না। এই ভূমি আমাদের।
প্রকাশিত চুক্তির আওতায়, বিতর্কিত ই১ এলাকায় ৩ হাজার ৪০০টি নতুন বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই নির্মাণ ভবিষ্যতে পূর্ব জেরুজালেমকে পশ্চিম তীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে, যা ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখছিল। আন্তর্জাতিক আইনের মতো, ১৯৬৭ সালের পরে গড়ে ওঠা সব বসতি অবৈধ বলে গণ্য হয়।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনা বলেছেন, পূর্ব জেরুজালেমকেই ফিলিস্তিনের রাজধানী করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই হচ্ছে শান্তির একমাত্র পথ। তিনি নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছেন, এটি অঞ্চলকে আরও গভীর সংকটে ঠেলে দিচ্ছে।
জাতিসংঘ ইতোমধ্যে ইসরায়েলকে বসতি সম্প্রসারণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি, জার্মানি, ফ্রান্স এবং বেলজিয়ামসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে সমর্থন দিয়েছে। তবে, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার নেতৃস্থানীয় দৃষ্টিভঙ্গি এখনো স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে, পশ্চিম তীর ও গাজা অঞ্চলে সম্প্রতি সহিংসতা বেড়ে গেছে। সোমবার জেরুজালেমে এক বন্দুক হামলায় ছয়জন নিহত হন। এদিকে, ২০২৩ সালের শুরু থেকে গাজায় সংঘটিত বিভিন্ন সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৬৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।