জুলাই মাসের অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পলাতক থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে করা মামলায় ‘সবশেষ সাক্ষী’ হিসেবে সাক্ষ্য দেবেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিতে এসে তিনি এই ঘোষণা দেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, সবশেষে তিনি এই মামলায় সাক্ষ্য দিচ্ছেন। তবে তার আগে গত বছরের ১০ জুলাই এই মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য প্রদান করেছিলেন গণমাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জেরা শুরুর কারণে এ দিন তিনি জবানবন্দি দিতে পারেননি। প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম জানান, মাহমুদুর রহমানের জেরা শেষ না হওয়ায় আজ নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য নেয়া সম্ভব হয়নি। আশা করছেন, আগামীকাল তাকে জবানবন্দি গ্রহণ করবেন ট্রাইব্যুনাল।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, Juli আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে নৃশংসতার সঙ্গে পরিচালিত অ্যাকশন ছিল এই অভ্যুত্থান। প্রথম দাবি ছিল এই সুবিচার দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা। তিনি আশ্বাস দেন যে, খুব দ্রুত এই মামলার রায় হবে। তিনি মনে করেন, এই মামলাটির ব্যাপারে আমি হয়তো শেষ সাক্ষী। সাক্ষ্য গ্রহণের পর এটি রায়ের পথে এগিয়ে যাবে।
নাহিদ আরও জানান, শুধু এই মামলাটি নয়, দেশের আরও অনেক মামলা রয়েছে, যার ফলে বিচার প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘ সময় ধরে চলবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের পরেও যেন এই বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য একটি রোডম্যাপের দাবি উঠেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ইশতেহারেও সেই প্রতিশ্রুতির অন্তর্ভুক্তির প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
এই মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশে সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
এর আগে, গত ১০ জুলাই, এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে সাবেক আইজিপি মামুন নিজেকে ‘অ্যাপ্রুভার’ বা রাজসাক্ষী হিসেবে আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে। বর্তমানে এই মামলায় মোট ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রদান সম্পন্ন হয়েছে।