বাম-গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সভাপতিসহ অন্যান্য নেতারা বৃহস্প্রতিবার যৌথ সামরিক মহড়ার নামে মার্কিন সেনাদের বাংলাদেশে অবস্থানের খবর পেয়ে তীব্র ক্ষোভ, প্রতিবাদ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, এই ধরনের কার্যক্রম দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য বড় ধরনের হুমকি। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর দেখে তারা গভীর উদ্বিগ্ন ও বিচলিত। নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের নানা এলাকা ঘিরে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির অপতৎপরতা চলছিল, এ অবস্থায় এই সামরিক উপস্থিতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। তারা বলছেন, ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ নামে এই যৌথ মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতির অনুমোদন দেওয়া বর্তমান সরকারের জন্য বেশ চিন্তার বিষয়। এই সিদ্ধান্ত দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে এবং দেশের স্বাধিকার ও নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। গভীর সমুদ্রে মার্কিন বাহিনী বহু আগে থেকেই সেখানে ঘাঁটি বানানোর জন্য চেষ্টা করছে, এর পাশাপাশি মায়ানমার সীমান্ত ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলমান সমস্যাও বিবেচনায় নিলে এই পরিস্থিতি অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। নেতৃবৃন্দ বলছেন, মার্কিন বন্ধুদের এই সামরিক উপস্থিতি পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশকেও অস্বস্তিতে ফেলবে। ইতিহাসে প্রমাণ হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য ও লাতিন আমেরিকার মতো অঞ্চলে এই ধরণের যৌথ সামরিক মহড়ার পেছনে বিভিন্ন ভৌরাজনৈতিক কূটকৌশল লুকিয়ে থাকে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য অশুভ চ্যালেঞ্জ। নেতারা সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা অবিলম্বে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি ও সব গোপন চুক্তি প্রকাশের দাবি করেন। যদি এই কর্মকাণ্ড বন্ধ না হয়, তাহলে কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্রাজ্যবাদের নীতি চলতে থাকলে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, না হলে দেশের স্বার্থ প্রভাবিত হবে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে।