৫ আগস্টের পর থেকে একটি দলের দেশজুড়ে চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর (শায়খে চরমোনাই) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতারা হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনের সময় রাস্তায় ছিলেন না। বরং তারা বাইরে ছিল, আর আমরা জীবন বাজি রেখে বুলেটের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিলাম।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মুপ্তি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, যখন শেখ হাসিনার সরকার হটানোর জন্য জীবন দিয়ে ছিলাম, তখন ভেবেছিলাম সভ্য সমাজের মানুষ মুক্তি পাবে, শান্তি পাবে। কিন্তু দেখলাম, আমরা রাস্তায় ছিলাম, আর এখন অন্যেরা গুন্ডামি ও মাস্তানি করে চাঁদাবাজি করছে। এই চাঁদাবাজির জন্য আমরা আন্দোলন করিনি; জুলুম ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, মানুষের অধিকার নিশ্চিতের জন্য লড়াই করেছি।
তিনি আরো বলেন, যদি ইসলাম রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে, তাহলে আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে দারিদ্রের হাঁটু থেকে মানুষ উঠে আসবে। সবাইকে পরীক্ষা করা হয়েছে, কেউ পাস করেনি। একবার ইসলামকে পরীক্ষা করুন, যদি আমাদের ফেল হয়, তাহলে আর দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাব না।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ইসলাম ও রাজনীতি আলাদা কিছু নয়। আমাদের প্রিয় নবী (সা.) রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন, খোলাফায়ে রাশেদিনও রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। কিন্তু আজকে মানুষ প্রশ্ন তোলে, হুজুররা কেন রাজনীতি করেন? আসলে ইসলাম গরিবদের মুক্তির জন্য এসেছে। ইসলামীর অর্থনীতি গরিবের জন্য সাজানো হয়েছে। যদি ইসলাম ক্ষমতায় আসে, তাহলে গরিবরাই প্রথম মুক্তি পাবে।
আন্দোলনের সময় অনেক বড় রাজনৈতিক নেতারা রাস্তায় ছিলেন না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ফখরুল সাহেব ছিলেন না, সালাহউদ্দিন সাহেব উপস্থিত ছিলেন না, তারেক রহমানও গৃহবন্দী থাকায় আন্দোলনে ছিলেন না। আর যারা আন্দোলনের সফলতা ভোগ করছে, তারা তখন রাস্তায় ছিল না।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে PPR পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। আগে যেমন দুর্বোধ্য নির্বাচন করা যেত না, ভবিষ্যতেও তা চলবে না।
আজকের বিশেষ আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি এম এইচ মোস্তফা, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মহাসচিব শেখ মো. মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতারা।
সংবাদ সূত্র: আজকের খবর/ এমকে