কক্সবাজারের টেকনাফে গহীন পাহাড়ের একটি অজানা ও বিপজ্জনক আস্তানায় বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ মোট ৬৬ জনকে উদ্ধার করেছেন সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই অভিযানটি পরিচালিত হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টার মধ্যে, যখন তারা টেকনাফের কচ্ছপিয়া পাহাড়ের শীর্ষে গোপন আস্তানা শনাক্ত করে সেখানে অভিযান চালায়।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ২২ জন, নারী ২৩ জন ও শিশু ২১ জন রয়েছেন। এগুলির মধ্যে বেশির ভাগই রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি নাগরিক। জানা গেছে, লোকজনকে সমুদ্রপথে ট্রলারযোগে মালয়েশিয়ায় পাচার করার উদ্দেশ্যে প্রলোভন দেখিয়ে তাদের টেকনাফে আনা হয়। এরপর সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্র গহীন পাহাড়ে এনে তাদেরকে বন্দি করে রাখে।
এছাড়া, এসব চক্র অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে, সাধারণ মানুষকে অপহরণ করে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। এসব কর্মকাণ্ডের কারণে টেকনাফের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গোয়েন্দা অভিযান বাড়িয়েছে। এরই অংশ হিসেবে, খবর পেয়ে তারা টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া পাহাড়ি আস্তানায় বেশ কয়েকজনকে বন্দি রাখা হয়েছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড যৌথ অভিযান শুরু করে।
অভিযানকালে গহীন পাহাড়ের চূড়ায় বেশ কিছু অপহরণকারী ও মানবপাচারকারী চক্রের আস্তানা শনাক্ত করা হয়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ৬৬ জন নারী, শিশু ও পুরুষ। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে অনেকের তথ্য সংগ্রহ এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এই ঘটনাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানাতে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশনের কেরে নতলী সম্মেলনখানা থেকে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।