নানাবিধ উৎসব পেরিয়ে এবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে মেহজাবীন অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা ‘সাবা’। এটি গত এক বছরে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে, যা এটি আলাদা পরিচিতি দিয়েছে। সিনেমাটিতে তুলে ধরা হয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারের অসুস্থ মাকে সেবা দিতে সংগ্রামরত এক তরুণীর গল্প। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী, আর তার মা চরিত্রে দেখা যাবে রোকেয়া প্রাচীকে।
‘সাবা’ সিনেমার চিত্রনাট্য করেছেন নির্মাতা মাকসুদ হোসেন ও তার স্ত্রী ত্রিলোরা খান। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই সিনেমা নির্মাণের পেছনে থাকছে ত্রিলোরা খানের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, যা প্রভাব ফেলেছে সিনেমার গল্পে।
নির্মাতা মাকসুদ হোসেন বললেন, ‘‘প্রায় পঁচিশ বছর আগে ঢাকায় আমার স্ত্রী ত্রিলোরা খান ও তার মায়ের ভয়াবহ এক গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই দুর্ঘটনার পর থেকেই ত্রিলোরার মা হুইলচেয়ারে চলাফেরা করবেন এবং সম্পূর্ণভাবে তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তার বাবার মৃত্যু পরবর্তী সময়েও, যতই অর্থপূর্ণ যত্ন নেওয়া হোক বা নার্সিং সাপোর্ট থাকুক না কেন, ত্রিলোরা বুঝতে পেরেছেন মাকে যতটুকু ভালোবাসা, যতটুকু সাহায্য থাকুক না কেন, তাকে মানিয়ে নেওয়া খুবই কঠিন। এই অভিজ্ঞতা থেকেই আমি ভাবছিলাম— যদি এমন একজন তরুণীর গল্প বলা যায়, যার নাম সাবা, যে ঢাকার নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন, তার পরিবার বা সাহায্য ছাড়াই মাকে বাঁচানোর জন্য লড়ে যাচ্ছে? এই ভাবনা থেকেই আমরা তৈরি করেছি আমাদের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘সাবা’।’’
‘সাবা’ সিনেমায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী, রোকেয়া প্রাচী এবং মোস্তফা মনোয়ার।
সিনেমার বিপণন প্রসঙ্গে নির্মাতা জানিয়েছেন, ‘সাবা’ ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ৪, অস্ট্রেলিয়ার এসবিএস এবং কাজাখস্তানের অলটারনেটিভা ডেজ-এ বিক্রি হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, বড় কোনও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি না হলে, এটি ২৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে। একই দিনে মুক্তি পাবে মুস্তাফিজুর রহমান মানিকের পরিচালনায় ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’ সিনেমাটিও।