সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাউদ্দীন আহমেদ গত রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এই সন্তানের জন্য শোকের ছায়া নেমে এসেছে সর্বত্র, কারণ তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট ও বর্ষিয়ান আইনজীবী, যার জীবনসঙ্গী ছিল দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য উদাহরণ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল তাঁর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে জানান, সালাউদ্দীন আহমেদ আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি আরও বলেন, তার শেষ সময়ে তিনি রোগের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন এবং নিজের পরিবারের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও সম্মান দিয়ে চলে যান।
সালাউদ্দীন আহমেদ দেশের পদচারণা শুরু করেন ১৯৮০ সালে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে। এরপর ১৯৮২ সালে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। তিনি ছিলেন একজন উচ্চমাত্রার কূটনীতিক ও দার্শনিক ব্যক্তিত্ব।
২০০৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বে ছিলেন, এবং পরে, ২০০৮ সালের ২০ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। তার এই দায়িত্বে তিনি ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কাজ করেন।
শিক্ষাজীবনে তিনি ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম ডিগ্রি লাভ করেন। এর আগে, ১৯৬৯ সালে তিনি লন্ডনের স্কুল অব ইকনমিক্স থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং ১৯৭০ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। আইন পেশায় প্রবেশের পূর্বে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা করেছেন। তাঁর এই দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ জীবনের গল্প আমাদের জন্য পরম দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।