ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির অভিজাত বসন্ত কুঞ্জ এলাকার একটি বিখ্যাত আশ্রমে পরিচালকের বিরুদ্ধে গুরুতর শ্লীলতাহানি ও নারীকেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ১৭ জন ছাত্রীর অভিযোগ রেকর্ড করেছে, যা তদন্তের গতিকে আরও শোরগোল করে তুলেছে। এরপর থেকেই ‘দিল্লির ওই বাবাকে’ হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ।
২৪ সেপ্টেম্বর আজকের খবরে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। ওই আশ্রমের মান্যতা পেয়ে থাকা শ্রী শারদা ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্টের স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতী বা পার্থ সারথির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে, তিনি অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে তাদের হয়রানি করতেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত ৩২ জন ছাত্রীর মধ্যে ১৭ জনই অভিযোগ করেছেন कि স্বামী চৈতন্যানন্দ তাদের সঙ্গে অশালীন ভাষায় কথা বলেছেন, অশ্লীল বার্তা পাঠিয়েছেন ও জোরপূর্বক শারীরিক স্পর্শ করেছেন। আরও বলা হয়, নারী শিক্ষক ও কর্মকর্তারা অভিযুক্তের দাবি পূরণের জন্য ছাত্রীদের চাপ দিচ্ছিলেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, তাদের পরিচিত করিয়ে দেওয়া হয় আশ্রমে কর্মরত কিছু ওয়ার্ডেনের মাধ্যমে, যারা এই নোংরা কাজের জন্য তাদের প্ররোচিত করতেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্বামী চৈতন্যানন্দের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম জেলার উপপুলিশ কমিশনার অমিত গোয়েল জানিয়েছেন, তদন্তের অংশ হিসেবে অভিযুক্তের স্থান ও ঠিকানায় অভিযান চালানো হয়েছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তবে এখনও তাকে ধরা সম্ভব হয়নি। সূত্রের খবর, তাকে সর্বশেষ আগ্রার আশপাশে দেখা গেছে। পুলিশ তার সন্ধানে একাধিক টিম কাজ করে যাচ্ছে।
তদন্তে পুলিশ একটি ভলভো গাড়ি উদ্ধার করেছে, যা ইনস্টিটিউটের বেসমেন্ট থেকে জব্দ করা হয়। গাড়িটির জাল কূটনৈতিক নম্বরপ্লেট (৩৯ ইউএন ১) ব্যবহৃত হয়েছিল। অভিযোগের প্রকাশের পরে, আশ্রমের প্রশাসন অভিযুক্তকে তার পদ থেকে বহিষ্কার ও সরিয়ে দিয়েছে।
আশ্রমের পরিচালনাকারী সংস্থা শ্রী শারদা পীঠ, শ্রীঙ্গেরি এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, স্বামী চৈতন্যানন্দের আচরণ ও কার্যকলাপ সম্পূর্ণ অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য। তারা আশ্রমের স্বার্থে অভিযুক্তের সঙ্গ সব সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে।
এই খবর এখন সারা দেশজুড়ে আলোচনায়। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত অনুসন্ধান চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে।