নিউইয়র্কে আখতার হোসেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব, আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে করা এক মামলার মাধ্যমে আবারো আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন। এই মামলাটি যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় অনুযায়ী বুধবার রাত একটায় (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোর ১১টা) জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরের কাছে পোর্ট অথোরিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট থানায় দাখিল করা হয়। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এনসিপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে আখতার হোসেন নিজে ভিডিওবার্তায় এই তথ্য দিয়েছেন।
জানানো হয়, মামলায় দুইজনের নাম উল্লেখ করা হলেও অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আখতার হোসেনের অভিযোগ, ওই দিনের হামলার পরেও তারা বিমানবন্দরের লবি ও অন্যান্য এলাকায় নানা অশোভন আচরণ করে হেনস্থা করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
ভিডিও বার্তায় আখতার বলেন, «বিমানবন্দরে হামলার পরে আজ সন্ধ্যায় আবারও আওয়ামী লীগের কিছু সন্ত্রাসী হোটেলের লবিতে এসে হামলার চেষ্টাকরছিল। তখন দেশের এনসিপির সদস্যরা ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাদের প্রতিহত করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আমাদের মামলা করতে বলেছেন। তাই আমি খুব কাছ থেকে দেখতে পেয়ে এয়ারপোর্টের নির্ধারিত থানায় গিয়েছি। যারা ওইদিন আমাদের উপর হামলা চালিয়েছিল, হত্যাচেষ্টার চেষ্টা করে ও হুমকি দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছি।»
আখতার আরও জানিয়েছেন, গত সোমবার জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে গিয়েছিলেন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী। এ সময় বিএনপি ও এনসিপির নেতারা বিমানবন্দরে হেনস্তার শিকার হন। তারা নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন। সেখানেই অশোভন আচরণ, গালাগালি ও ডিম ছোড়াছুড়ির মতো ঘটনার পাশাপাশি আখতার হোসেনের গায়েও ডিম ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটে।
নিউইয়র্কের এই ঘটনাগুলোর মাধ্যমে আবারো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক সন্ত্রাস ও হেনস্তার তীব্র বিরোধিতা। নিরাপত্তা ও মানবাধিকার রক্ষা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সচেতন মহল।