নেপালের সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশ জারি করেছে যা দেশের তরুণ প্রজন্মকে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত ও ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। এই উদ্যোগের ফলে, নির্বাচনের ঘোষণা मिलने পরেও নতুন ভোটারদের জন্য নিবন্ধনের দরজা খোলা থাকবে, যা আগে আইনের কারণে সম্ভব ছিল না।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রয়টার্স নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে জানানো হয়, নেপালের ভোটার নিবন্ধনের ২০১৭ সালের আইনের ৪ নম্বর ধারার ২ (২) উপধারায় উল্লেখ ছিল যে, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হওয়ার পর নতুন করে ভোটার নিবন্ধন করা যাবে না। কিন্তু যখন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি শুশিলা কার্কি শপথ নেওয়ার রাতে ৫ মার্চের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন, ঠিক তখনই এই আইনের সেই বাধা অপ্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়ায়।
২৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এই নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে সেই অণুচ্ছেদটি বাতিল করা হয়েছে এবং বদলে নতুন বিধান যোগ করা হয়েছে। এখন থেকে নির্বাচনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নতুন ভোটাররা নিবন্ধন করতে পারবেন, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ করে তুলেছে। নির্বাচনী কমিশনের মুখপাত্র নারায়ণ প্রসাদ ভট্টরাই জানান, প্রথমে ভোটার তালিকা সম্পূর্ণ করাই হবে মূল কাজ, এরপর নির্বাচনসূচি ঘোষণা করা হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি শুশিলা কার্কি ১২ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব গ্রহণের দিনই সংসদের অধিবেশন ভেঙে দিয়েছিলেন। তার পর থেকে অনেকের মধ্যে ধারণা ছিল, নতুন ভোটারদের জন্য নিবন্ধনের সুযোগ কমে যাবে। তবে নতুন এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রবাসী নেপালিদের ভোটের অধিকারও নিশ্চিত হতে চলেছে, যার জন্য একটি বিশেষ গবেষণা দলও গঠন করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিবর্তনটি তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি বড় প্রাপ্তি। দুর্নীতি ও দুর্বল শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলে, এর ফলেই ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল সাবেক সরকার। বর্তমানে মেয়াদিত সরকারের নেতৃত্বে এই নতুন অধ্যাদেশ দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে তরুণদের ভূমিকা বাড়িয়ে দিয়েছে, যা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক এক পরিবর্তন।