আন্তর্জাতিক আলোচনা ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন দিক তুলে ধরছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভবিষ্যত পরিকল্পনা। কিছু সপ্তাহ আগেই চুক্তির মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের মধ্যে নতুন বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপিত হলেও, হোয়াইট হাউসের দেয়ালে আলোচনার ধারায় নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। মূলত, মঙ্গলবারের বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের পাশাপাশি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের উপস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে। এই আলোচনায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যু ব্যাপকভাবে আলোচনা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই বৈঠকটি পাকিস্তান ও আমেরিকার সম্পর্কের দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি দুই দেশের মাঝে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের নতুন দিশা দেখাতে পারে। ট্রাম্পের শাসনামলে সম্পর্কের উষ্ণতাই প্রমাণ করে যে, উভয় দেশেই আগ্রহ রয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও ভবিষ্যতের যৌথ সম্মিলনে। এর আগে গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের জন্য নতুন বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করে, যেখানে পাকিস্তানের উপর ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। তবে এই সময় ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিবেচনার পরিবর্তন লক্ষ্যণে দেখা গেছে, যেখানে সম্পর্ক অস্থিরতায় ঠেকেছে। এরমধ্যে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকটির মাধ্যমে কৌশলগত কিছু বিষয়ে আলোচনা হতে পারে, বিশেষ করে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অর্থনীতির ইস্যুতে। বিশেষ করে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের উপস্থিতি এই বৈঠকের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে, ট্রাম্প প্রথমবারের মত পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন হোয়াইট হাউসে, যা ছিল তার আগে প্রথমবার। এই আলোচনায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিষয়ক নানা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলেছে। একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ট্রাম্প এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ অনুকূল রাখতে সক্রিয়, যা পাকিস্তানের নেতৃত্বের সঙ্গে তার যোগাযোগ দেখিয়ে দেয়। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছুটা টানাপোড়েন থাকলেও ট্রাম্প সম্পর্ককে এখনও শক্তিশালী বলে মনে করেন। পাশাপাশি, ট্রাম্পের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কোয়াড সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা এবং আঞ্চলিক শান্তির জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা চলমান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে সতর্কভাবে ব্যাখ্যা করে নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে, যা পাকিস্তানের শান্তির প্রচেষ্টার অংশ। এদিকে, ইসলামাবাদ ইসরায়েল, কাতার ও ইরানের হামলার নিন্দা জানিয়ে সহানুভূতির প্রকাশ করেছে। এর পাশাপাশি, ট্রাম্পের জাতিসংঘ অধিবেশনে উপস্থিত হওয়া এবং বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক তার আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কৌশলসমূহের অংশ। শেহবাজ শরিফ এবং অন্যান্য নেতারা ঐ বৈঠকের আলোচনায় অংশগ্রহণ করে পরিস্থিতির উন্নতিতে নতুন দিক দেখার আশা রাখছেন। দেশের মধ্যে সম্পর্কের এই পরিবর্তন ও সমঝোতা ভবিষ্যতকে আরও দৃঢ় করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।