সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে একটি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পাগলা বাজারের সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কে পিকআপভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ વિસ્તારમાં ঘটে এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা যেখানে ঘটনাস্থলেই মারা যান এক স্কুলছাত্রীসহ তিনজন।
নিহতরা হলেন হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামের বাসিন্দা ও অটোরিকশার চালক সজল ঘোষ (৪০), একই জেলার বানিয়াচং উপজেলার নবীপুর গ্রামের আঁখি রানী চৌধুরী (৩৬) এবং তার মেয়ে প্রথমা চৌধুরী। প্রথমা সুনামগঞ্জ শহরের সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। মা-মেয়ে দুজনই সুনামগঞ্জ শহরের উকিলপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে দ্রুত গতিতে আসা একটি পিকআপভ্যানের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষটি এতই ভয়াবহ ছিল যে অটোরিকশাটি দেবে যেতে থাকায় মা-মেয়ে সহ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আশপাশের মানুষ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান, মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং স্থানীয়রা পিকআপভ্যান চালককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
আটক হওয়া পিকআপচালকের নাম পারভেজ আহমেদ (৩৫), তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত জালাল উদ্দীনের ছেলে। দুর্ঘটনার পরে মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় যানবাহন সরিয়ে নেয়া হলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ নিশ্চিত করে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অধিক গতিই এই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।