শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৬৯ রান, যা খুবই সম্ভব ছিল তাদের জন্য। কিন্তু এবারে পুরোপুরি ব্যর্থতা দেখিয়েছে জাকের আলীর নেতৃত্বাধীন দল, তারা মাত্র ৪১ রানে অলআউট হয়। এই হারের ফলে ৪১ রানের এই বিপর্যয়ে তারা লড়াই করতে পারেনি। টি-টোয়েন্টিতে এই হারে বড় ধাক্কা লাগিয়েছে বাংলাদেশের আশঙ্কাকে। আকর্ষণীয় বিষয় হলো, সাইফ হাসান তার লড়াকু ইনিংসের দ্বারা দলের মানসিকতা কিছুটা ধরে রেখেছেন। তিনি ৫১ বলে ৬৯ রান করে একক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের ক্ষতি কিছুটা সামলে নিয়েছেন। তার এই ইনিংস বাংলাদেশের জন্য এখনও কিছু আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু পুরো দলের ধারাবাহিকতা অপর্যাপ্ত ছিল। ভারতের কাছে জয় হাসিল করে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে, বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ এখন যেন অঘোষিত সেমিফাইনাল, যার বিজয়ী ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে। তানজিদ তামিমের ওভার থেকে শুরু করে অন্যান্য ব্যাটসম্যানের উইকেট হারানোর কারণে বাংলাদেশের চাপে পড়তে থাকে। সাইফ হাসান ও পারভেজ হোসেনের জুটি পাওয়ার প্লেতে ৪৪ রান তুলে দলের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নত করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে এর পরেই দ্রুত উইকেট হারানোর কারণে পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়। ইমন, তাওহীদ হৃদয়, শামিম ও জাকের আলী দ্রুত আউট হয়ে যান। শেষের দিকে, জাকের আলীর রানআউট ও সাইফের হাফসেঞ্চুরি অনবদ্য ছিল। তিন বলের ব্যবধানে বাংলাদেশের স্কোর ১০০ ছুঁয়েছিল। সাইফের এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে দলের সমর্থন কিছুটা ফিরে আসে। তবে, শেষের দিকে বাংলাদেশের ব্যাটিং ধস নামে, এবং দরকারি রান দ্রুত বাড়তে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত, বাংলাদেশ এই ম্যাচে পরাজিত হয়। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি কঠিন অভিজ্ঞতা, যা তাদের পরবর্তী ম্যাচে মনোবল ধরে রাখতে সহায়তা করবে।