ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত অভিযানের কারণে গাজা উপত্যকায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এক দিনে আরও ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, পাশাপাশি আহত হয়েছেন ১৪২ জন। এই তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুসারে, গত দুই বছরে চলমান এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের মোট সংখ্যা reaching ৬৫ হাজার ৫৪৯ এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫১৮য়ে পৌঁছেছে। তবে, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, নিহত ও আহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের নিচে অনেকের মরদেহ চাপা পড়ে থাকায় তাদের দ্রুত উদ্ধার সম্ভব হয়নি। তাছাড়া, খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে গাজায় আসা ফিলিস্তিনি জনগণের ওপরও নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে, ত্রাণ নিতে গিয়ে ৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের দপ্তর থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এই হামলায় প্রায় ১,২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নেওয়া হয়। এর জবাবে ইসরায়েলি সেনারা গাজায় ব্যাপক অভিযান শুরু করে, যা এখনো অব্যাহত আছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীতির তোয়াক্কা না করে গাজায় এই নিষ্ঠুর সামরিক অভিযান চালানোর জন্য, নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গত নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
এছাড়াও, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার সংস্থা (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা দায়ের করেছে। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলছেন, হামাসের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত গাজার সামরিক অভিযান চলতেই থাকবে।
সূত্র: আলজাজিরা ও আনাদোলু এজেন্সি
আজকের খবর/ এমকে