যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের গ্র্যান্ড ব্ল্যাংক শহরে একটি গির্জায় বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে চারজন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন। এই ভয়াবহ হামলার কিছু সময়ের মধ্যেই পুলিশ গুলিতে নিহত হন হামলাকারী। ঘটনার কিছুক্ষণ আগে তিনি গির্জা ভবনে অগ্নিসংযোগও করেন, যার ফলে ভবনটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর, এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে, যা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ঐতিহ্যবাহী বিশেষ পবিত্র দিন। অনেকে তখন প্রার্থনায় অংশ নিচ্ছিলেন, কারণ এই দিনটি সাধারণ দিনগুলোর মতো নয়, এটি ‘মাস’ নামে পরিচিত একটি মূলধারার ধর্মীয় অনুষ্ঠান। প্রচণ্ড উত্তেজনায় গির্জায় প্রবেশ করে হামলাকারী নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করেন, এতে হতাহতের ঘটনায় ছড়িয়ে পড়ে শোকের ছায়া। তখন প্ৰত্যক্ষদর্শীরা বলে, তিনি গাড়ি চালিয়ে হঠাৎ করে গির্জার ভিতরে ঢুকেন এবং অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়ে গুলি চালাতে শুরু করেন। ঘটনার কিছুক্ষণ পরে সে পালিয়ে যায়। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, হামলাকারীর নাম থমাস জ্যাকব স্যানফোর্ড (৪০), যার জন্ম ও বেড়ে ওঠা মিশিগানের বার্টন শহরে। তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীর মেরিন শাখায় ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ইরাক অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। এই হামলায় ঘটনাস্থলেই ৪ জনের মৃত্যু হয়, অন্যরা আহত হন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করেছিল, পরে আরো দু’জনের দেহ গির্জার ভিতরে পাওয়া যায়। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্র্যান্ড ব্ল্যাংক শহরের পুলিশপ্রধান উইলিয়াম রেনি জানিয়েছেন, হামলার মাত্র ৩০ সেকেন্ডের ভিতরে দু’জন পুলিশ কর্মকর্তার দ্রুত উপস্থিতি ঘটে এবং তারা গুলি চালিয়ে হামলাকারী স্যানফোর্ডকে নিহত করেন। হামলার পিছনে কী কারণ ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, স্যানফোর্ডের বাসস্থান ও ফোন রেকর্ড যাচাই করে মরদেহের কারণ ও হামলার মোটিভ বোঝার কাজ চলছে। উল্লেখ্য, এই হামলার মাত্র ১৪ ঘণ্টা আগে পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্য নর্থ ক্যারোলাইনার সাউথপোর্টে এক পানশালায় বন্দুক হামলা হয়, যেখানে তিনজন নিহত ও আরও পাঁচজন আহত হন। এই ভয়াবহ ঘটনার পর, সুনির্দিষ্ট তদন্তের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।