খাগড়াছড়িতে টানা তৃতীয় দিন ধরে সড়ক অবরোধ চলছে। গত রোববার গুইমারা উপজেলায় দুর্বৃত্তের গুলিতে তিনজন পাহাড়ি নিহত হন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং বেশ কয়েকজন পাহাড়ি ও বাঙালি। পরিস্থিতি এখন পুরো জেলায় উদ্বেগজনকভাবে কঠোর হয়ে উঠেছে।
নিহতদের লাশ গতকাল বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে আনা হয়। মরদেহের স্বার্থপরিচয় নিশ্চিত করার জন্য চেষ্টা চলছে, আর আজ সোমবার সম্ভবত ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে।
১১ সেপ্টেম্বর রাতে ঘটে যাওয়া ওই স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যার জেরে হামলা, পাল্টা হামলা ও দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর ফলে খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা এলাকায় এখনো ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।
সড়ক অবরোধের কারণে জেলার সব গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অবরোধকারীরা বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড বসিয়ে এই অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে, তবে প্রকাশ্যে তাঁদের দেখা যায়নি। শহর ও শহরতলীতে সব ধরণের যানবাহন ও লোকজন ঘরে থাকতে বাধ্য হয়েছে। লংগদু, বাঘাইছড়ি ও অন্যান্য বাজারে দূরপাল্লার ট্রাক ও পিকআপ ভর্তি কাঁচামাল আটকে থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে।
অপরদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে কঠোর টহল জোরদার করেছে। ধর্ষণের মামলার পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন সন্দেহভাজন একজন, তবে বাকি দুইজন এখনও পলাতক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ছাত্র-জনতা এবং প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা বলেছেন, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে।
জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখনো ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।