গৌরনদী প্রেসক্লাবের সদস্য ও সাংবাদিক মোল্লা ফারুক হাসানের বিরুদ্ধে গৌরনদী থানায় একটি ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা বলেন, মোল্লা ফারুক হাসান সব সময় সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ খবর পরিবেশনের জন্য পরিচিত। তাকে হয়রানি করার জন্য এই মামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। এই চেষ্টাগুলো সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ ও স্বাধীনতা হরণের একটি অপপ্রচেষ্টা, যা কখনোই সফল হবে না। সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে তারা বলছেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষা করতে সকলকে একত্রিত হতে হবে এবং মোল্লা ফারুক হাসানের নামে দায়েরকৃত এই মিথ্যা মামলার দ্রুত প্রত্যাহারের জন্যও দাবি জানানো হয়।
অন্যদিকে, মোল্লা ফারুক হাসান জানান, তিনি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল এলাকার ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কের সংলগ্ন ‘আরিফ ফিলিং স্টেশন’ নামে এক ব্যবসা দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করে আসছেন। যদিও আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও, মালিক পক্ষ আদালতের আদেশ অমান্য করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনি সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, তখন পুলিশ তাকে ভুলভাবে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগে মামলায় জড়িয়েছে বলে দাবি করেন।
ফারুক হাসান বলেন, “ঘটনাস্থলে কেবল বাঁশের বেড়া নির্মাণের ঘটনা ঘটেছে, কোনো ভাঙচুর বা বিশৃঙ্খলা হয়নি। সিসি ক্যামেরা থাকার পরও পুলিশ তদন্ত না করে মামলাটি দায়ের করেছে, যা সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য আঘাত। এটি একটি ন্যাক্কারজনক প্রচেষ্টা বলে মনে করেন তিনি।
সাংবাদিকরা এ ঘটনার মাধ্যমে পুলিশের দায়িত্বহীনতা ও পক্ষপাতিত্বের তীব্র সমালোচনা করে বলছেন, এর ফলে জনগণের ওপর পুলিশের বিশ্বাস হারাচ্ছে এবং ন্যায়বিচারের পথে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তারা আরও দাবি করছেন, এই ধরনের অমানবিক ও অযৌক্তিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে যেন সত্যের জয় হয় ও সমাজের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়।