বিশ্বের বিভিন্ন ফরম্যাটে পাকিস্তানকে সর্বশেষ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে হারিয়েছিল ভারত। এরপর থেকে ভারতের বিরুদ্ধে কোনও ম্যাচে পাকিস্তান জয় পায়নি, এবং ভারতেরই শেষ হাসি হেসে এসেছে। খেকো ৮ ম্যাচে জয়লাভের ধারাটা বজায় রেখেছে ভারত। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হলেও পাকিস্তানের জন্য এটি ছিল কঠিন সময়। এই মহারণের ফলাফল নির্ধারিত হয়েছে শেষ ওভারে, যেখানে ভারতের ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে। এর ফলে তারা নবম বার এশিয়া কাপের শিরোপা জিতল মহাদেশের শীর্ষ দল হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করে।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ (রোববার) সপ্তদশ এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তান শক্তিশালী সূচনা করলেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে। ১১.২ ওভারে ১০০ রান তুলতেই পুরো দল অলআউট হয় ১৪৬ রানে। ভারতের হয়ে টিলক ভার্মা ৫০ রান করে দলকে শক্তিশালী শুরু দেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতের শুরু ছিল খারাপ। অভিষেক শর্মা মাত্র ৫ রান করে ফিরে যান, ফাহিম আশরাফের শিকার হয়ে। এরপর সূর্যকুমার যাদবও কিছুটা চাপে পড়েন, ১ রানে আউট হন। ফাইনালের ম্যাচে মুসলমানের জন্য এটি ছিল দুর্দান্ত শট। এরপর ভারতের ব্যাটসম্যান সঞ্জু স্যামসন ১২ রান করে ব্যক্তিগত ক্যাচ হেরেছেন- হুসাইন তালাতের হাতে। দিনটি ছিল পাকিস্তানের জন্য উত্তেজনাপূর্ণ, কারণ ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা ক্রমাগত চাপের মধ্যে থাকলেও, তিলক ভার্মা কিছুটা দুর্বার ব্যাট করেছেন, ৪১ বলে ফিফটি পূরণ করেন।
আরেকজন ক্রিকেটার আবরার আহমেদ নবম ওভারে সঞ্জু স্যামসনকে ব্যক্তিগত ২৪ রানে উইকেট দেন, যা ভারতের জন্য বড় ধাক্কা। এরপর ভারতীয় জুটি তিলক ও স্যামসন রান সংগ্রহে সাফল্য দেখান এবং ম্যাচের পরিস্থিতি বদলাতে থাকেন। ৫৭ রানে জুটি ভেঙে যায় আবরারের ক্যাচে, স্যামসন ব্যক্তিগত ২৪ রানে ফিরে যান।
অবশ্য, রউফের ১৫তম ওভারে ১৭ রান সংগ্রহ করে ভারতীয়দের উপর চাপ কিছুটা কাটানো হয়। ৪১ বলে তিলক ভার্মা ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করে ম্যাচে ফেরার পথ দেখান। শেষ দিকে দুই ব্যাটসম্যানের ৬০ রানের জুটি ভারতের জয়ের মূল কারিগর। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১০ রান; সেখানে চার-ছক্কায় তিলক ২ বল হাতে রেখেই ম্যাচ নিশ্চিত করেন।
আজকের এই জয়ে ভারত মহাদেশের অন্যতম টপ দল হিসেবে তাদের নজির আরো দৃঢ় হলো। এশিয়া কাপের এই জয় ভারতের জন্য ছিল অনন্য এক অর্জন, যা তারা দীর্ঘ দিন ধরে ধরে রেখে আসছে।