প্রিয় দেশবাসী, ট্রেড পার্টনার্স ও কনসার্ন গভর্নমেন্ট বোর্ডের সবাইকে আমি জরুরি ঘোষণা দিচ্ছি। এখনই সময় সচেতন হতে হবে, কারণ আকাশবাড়ি হলিডেজের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে আমি বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করতে চাই।
আকাশবাড়ি হলিডেজের চারজন কর্মী—ইমতিয়াজ, আবু বকর রাব্বি, তৌহিদুল ইসলাম মাসুম এবং তাজরীন আকতার—দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। তারা লক্ষ লক্ষ টাকার বেতন, বেনিফিটসহ কোটি টাকার মালিকানাসহ বেশ কিছু গাড়ি রেখে গেছেন। এদের মধ্যে মোর্শেদ জুয়েল, ফাস্ট ট্রিপের প্রতিষ্ঠাতা, সহ অন্যান্য অভিযুক্তরা আত্মপ্রণোদিতভাবে বিভিন্ন জাল ডিক্লারেশন, অবৈধ আর্থিক সুবিধা গ্রহণ ও প্রতিষ্ঠান থেকে বেআইনি উপার্জনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।
একই সময়ে, এই পাঁচ ব্যক্তি কমপক্ষে ছয় মাস ধরে নতুন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা, সফট লঞ্চিং ও ব্যবসা করে আসছেন। তারা আকাশবাড়ির গুরুত্বপূর্ণ নথি, ডেটা, কাস্টমার কনট্যাক্টস, পাসপোর্টের কপি, হার্ড ডিস্কসহ সংবেদনশীল তথ্য অবৈধভাবে নিজের কোম্পানিতে ব্যবহার করছে বলে আমার কাছে কমপক্ষে দ্বিশত প্রমাণ রয়েছে। এরা বিনিয়োগপ্রলোভন দেখিয়ে কর্মচারীদের নিজের কোম্পানি ট্রান্সফার করিয়ে নিচ্ছেন।
অবশ্যই, আমি অনেক বড় আর্থিক ক্ষতি করেছি। আকাশবাড়ির মাসিক আয় নানা দিক থেকে কোটি টাকার বেশি, এবং বছরে দেড় থেকে দুই কোটি টাকার বৈদেশিক রেমিটেন্স আনা হয়।
প্রশ্ন হলো, আমাদের দেশ কি এতটাই দুর্বল যে, চাকরি করে আয় করা অর্থ, এবং একান্ত স্বার্থের জন্য বেআইনি কাজ করে প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকদের ডেটা চুরি করা সম্ভব? কোম্পানি বা ট্রেডাররা কি এতই প্রভাবশালী বা ক্ষমতাধর যে, আইন বা নীতি মানতে চান না, আরও ৬ মাসের মধ্যেই নতুন কোম্পানি গঠন করে বিকাশে বাধা দিচ্ছেন?
এমনকি তারা জনসম্মুখে ঘোষণা দিয়ে বলছেন, আইন বা নীতির তোয়াক্কা না করে তাদের অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে। এই ব্যাপারে আমি সচেতনভাবে প্রমাণ সংগ্রহ করছি। আমার সাথে অনেক প্রমাণ ও সাক্ষ্য রয়েছেন, যা আমি প্রকাশ করতে প্রস্তুত।
এখন আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই দুর্নীতিবাজ ৫ ব্যক্তির জন্য আপনারা সবাই—ট্রেড পার্টনার, গ্রাহক, গণমাধ্যম, বা আইনপ্রণেতা—সতর্ক থাকুন। যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেন, আমি ৩ মাসের মধ্যে ১৯০ জন কর্মচারী ও তাদের পরিবারের ভবিষ্যত চিন্তা না করে কোম্পানি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো।
আকাশবাড়ির ব্যবসায়িক অঙ্গনে এই অবস্থা খুবই উদ্বেগজনক। ডেটাবেস, দক্ষ কর্মী ও প্রতিষ্ঠানজনিত সম্পদ ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকছে না। আমি সরকারের উঁচু স্তরে এসব অভিযোগ দাখিল করেছি, তবে এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা বা যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমি ক্রমশই এই প্রতিষ্ঠানে কোটি টাকা পেআউটের ক্ষমতা হারাচ্ছি, যা দ্রুত সমাধান করতে হবে। আমার কমপক্ষে ৫,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
আমি প্রত্যেককে অনুরোধ করি, আমার সাথে প্রতিদিন উপস্থিত থেকে প্রমাণগুলো দেখবেন। দয়া করে সচেতনতা বজায় রাখুন, যেন এই অবৈধ কার্যক্রম থেকে রেহাই পান।
অবশেষে, আমি বলতে চাই, চাকরি করে কোটি টাকা উপার্জন বা ফাউন্ডার হওয়া সম্ভব—একথা তারা দেখিয়েছেন। আপনারা যারা সৎ থাকেন, শুধু তাকিয়ে থাকুন।
লেখক: তৌহিদুল আলম মিল্কী
আজকের খবর/ওআর