যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউনের আশঙ্কায় ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি এই পরিস্থিতিকে স্থায়ী কর্মী ছাঁটাইয়ের উপযুক্ত কারণ হিসেবে দেখাতে চান, তবে এর গভীর প্রভাব অর্থনীতির ওপর ভীষণভাবে পড়তে পারে।
২০২৩ সালের ১ অক্টোবর থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হলেও, প্রথম দিনেই দেশটি কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। কংগ্রেসের অক্ষমতা বা ব্যর্থতার কারণে আসন্ন অর্থায়ন বিল পাস না হওয়ায় ফেডারেল সংস্থা ও দপ্তরগুলো তহবিলের অভাবে কার্যক্রম বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে হাজার হাজার সরকারি কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, জাতীয় উদ্যান, পাসপোর্ট প্রসেসিংসহ নানা জরুরি পরিষেবাও সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বিমানবন্দরে বিলম্ব ও সাধারণ নাগরিকদের জন্য সেবা দেওয়ায় ভোগান্তি বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতির ধারাবাহিকতা ও দীর্ঘস্থায়িত্বই মূল বিষয়। অর্থনীতিবিদরা জানাচ্ছেন, এ ধরনের শাটডাউনের ফলে প্রতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রায় ০.১ শতাংশ কমে যেতে পারে। তবে যদি কেউ পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান করতে পারে, তাহলে ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে ওঠা যাবে।
অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এই শাটডাউনের আরেক বড় প্রভাব। মূলত অক্টোবরের শেষের দিকে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের আগে বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই সময়টিতে, শ্রম বাজার ও মূল্যস্ফীতির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। এর ফলে বাজারে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা আরও বেড়েছে।
সূত্র: মর্গ্যান স্ট্যানলি
আজকের খবর/ এমকে