নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ‘শাপলা’ প্রতীক পাওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে দাবি থেকে সরে এসেছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, যদি নির্বাচন কমিশন (ইসি) এনসিপির জন্য এই প্রতীক দেন, তাহলে তিনি কোনো মামলা করবেন না। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে তিনি এই বিষয়ে একটি পোস্ট করে এ কথা জানান।
মান্না বলেন, যদি আমাকে জাতীয় প্রতীকের কারণে শাপলা দেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন অন্য কারো জন্য এই প্রতীক দিতে পারবে না। তবে এনসিপি দলটি তার কাছে এসেছিল। যারা জুলাই মাসে অভ্যুত্থান ঘটিয়েছিল, তাদের বয়স, অভিজ্ঞতা এবং শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ উৎখাতের লক্ষ্য বিবেচনা করে তিনি তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তিনি বলেছেন, শাপলা প্রতীক যদি তাদের দেওয়া হয়, তাহলে তিনি কোনো মামলা করবেন না।
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের সূত্রে জানা গেছে, এনসিপি প্রথমে শাপলা, কলম বা মোবাইল ফোনের মধ্যে যেকোনো একটি প্রতীক পেতে চেয়ে আবেদন করেছিল। কিছুদিন পর তারা এই আবেদন সংশোধন করে শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলার জন্য আবেদন করে।
তবে, ইসি জানিয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলে থাকা ১১৫টি প্রতীকের মধ্যে শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলা অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই, এনসিপি এই প্রতীক পাবেন না। এর বিকল্প হিসেবে খাট, থালা, বেগুন, বালতিসহ মোট ৫০টি প্রতীক থেকে নিজেদের পছন্দের প্রতীক বেছে নেওয়ার জন্য দলটিকে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে এই প্রতীকের মধ্যে একটি বাছাই করতে হবে।
বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র। কমিশনের নির্বাচন সহায়তা শাখার উপ-সচিব মো. রফিকুল ইসলাম এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে এর আগেই এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।
এদিকে, মান্নার এই সিদ্ধান্ত অনেক এনসিপি নেতা-নেত্রীর প্রশংসা পেয়েছে।
ওই পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব এস এম সাইফ মোস্তাফিজ লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রিয় মাহমুদুর রহমান মান্না ভাই। নির্বাচন কমিশনাররা আর কি কি বাহানা দেবেন? নিজেকে আর বেশি বিতর্কিত না করে দ্রুত এনসিপিকে শাপলা মার্কা দিন।’