ইসরায়েলি অবরোধের কারণে বিপর্যস্ত গাজা উপত্যকার জন্য নতুন করে ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর জোট—ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)। বুধবার (২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এফএফসি এই সিদ্ধান্ত জানায়, সূত্র করে খবর আনাদুলু এজেন্সির।
এফএফসি জানায়, ইতালি ও ফ্রান্সের পতাকাপ্রদর্শনকারী দুটি জাহাজ ২৫ সেপ্টেম্বর ইতালির ওৎরান্তো বন্দর থেকে গাজার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর আরও নয়টি নৌযান সেই বহরে যোগ দেয়। সবমিলিয়ে এই ১১টি জাহাজের সঙ্গে প্রায় ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবী ও ক্রু বিশ্বব্যাপী মানবিক সহায়তার জন্য প্রস্তুত। তারা শিগগিরই একত্রিত হয়ে এক শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ বহর হিসেবে গাজার দিকে অগ্রসর হবে।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন ২০০৮ সালে গঠিত একটি সংগঠন। এর সদস্য সংগঠनों মধ্যে রয়েছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লোবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা এবং সুমুদ নুসানতারা।
এর আগে, চলতি বছরের আগস্টে তারা একটি বিশাল মানবিক ত্রাণ মিশন শুরু করে—গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নামে। এই মিশনে অংশ নেয় বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০০ জন প্রতিনিধি, যার মধ্যে ছিলেন সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি মান্ডলা ম্যান্ডেলা এবং ৪৪টি দেশের পার্লামেন্ট সদস্য, আইনজীবী, স্বেচ্ছাসেবী ও অধিকারকর্মীরা।
সেই বহরটি ৩১ আগস্ট স্পেন থেকে রওনা দেয়। কিন্তু গাজার জলসীমার কাছাকাছি পৌঁছানোর পরই ইসরায়েলি নৌবাহিনী বেশ কয়েকটি জাহাজ আটক করে, অন্যন্যগুলোকে জোরপূর্বক বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ইসরায়েলের বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনাটি বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
তবে, এর বিরুদ্ধে কোনো গুরুতর প্রতিক্রিয়া দেখায়নি ইসরায়েলি সরকার। বরং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষ থেকেও অবরোধের অবসান বা শিথিলতার কোনো ঘোষণা আসেনি। এর মধ্যেই ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন আবারও মানবিক সহায়তার জন্য ত্রাণ পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে, যা বিশ্বনেতাদের এবং মানবিক কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।