শারজায় অনুষ্ঠিত প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের দল সহজ ম্যাচটিকে কঠিন করে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো। এই ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ১৫২ রান। প্রথম ১১ ওভারে বিনা উইকেটে ১০৯ রান সংগ্রহ করে তারা মনে হচ্ছিল সহজেই বড় ব্যবধানে জিতবে। তবে এর পরে হঠাৎ করে ফলটা পরিবর্তিত হয়, যখন বাংলাদেশের ৯ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে হারের আশঙ্কা দেখা দেয়।
তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের লড়াকু মনোভাব ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে তারা জয়লাভ করে। শারজার মাঠে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ১৫১ রান করে। ব্যাটিংয়ের সূচনা দুর্দান্ত ছিল। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫০ রান তুলেন। এই ওপেনিং জুটিতে ১১ ওভারে বাংলাদেশ ১০০ রান পার করে। ইমন ৩৫ বলে ফিফটি করেন, আর তামিমের হাফসেঞ্চুরি ১২তম ওভারে আসে। ইমন ৫৪ রানে ফিরলেও, তার বিস্ময়কর ব্যাটিং অনন্য ছিল।
আফগানিস্তানের বোলার রশিদ খান এই ম্যাচে ফিরে আসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি চার উইকেট নেন এবং বাংলাদেশকে কিছু সময়ের জন্য বিপদে ফেলে। তবে শেষমেষ রিশাদ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান শেষ মুহূর্তে ম্যাচ বের করে আনেন। নুরুল হাসান ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন, আর রশিদ খান ১৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন।
আফগানিস্তানের ইনিংস শুরু খুব খারাপ হয়, প্রথম ওভারেই ইব্রাহিম জাদরান এবং অতালকে আউট করেন নাসুম আহমেদ, উভয়ই ব্যাটে কিছু করতে পারেননি। এরপর দলের অবস্থা আরো খারাপ হয়, যখন বেশ কিছু উইকেট পড়ে। এক পর্যায়ে তারা ৬ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রানে দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত মোস্তাফিজের স্পেল ও শরফউদ্দিনের ক্যামিও রান তাদের কিছু ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেয়।
শেষ বলগুলোতে আফগানিস্তান ব্যাটাররা লড়াকু চেষ্টা চালায়; তবে বাংলাদেশি বোলাররা ধৈর্য্য ও নিখুঁত পরিকল্পনায় সেটি প্রতিহত করে। এই জয়ে বাংলাদেশের সিরিজে বড় ধাপ অগ্রসর হওয়ার সম্ভবনা জেগে উঠেছে।