রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাসৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিকের মরদেহে সর্বস্তরের মানুষ শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১১টার পর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, রাজনৈতিক দলসহ সাধারণ জনগণ ফুল দিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢক করে। এ সময় উপস্থিত হাজারো মানুষ তাকে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের এক আলো brightly বলতে অভিহিত করেন। তারা বলেন, দেশের জন্য তার অবদান অপরিমেয়, এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের এই চেতনা ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর পর আহমদ রফিকের মৃত্যু ইচ্ছা অনুযায়ী তার মরদেহ নেওয়া হয় ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জীবদ্দশায় তিনি মানবিক শিক্ষা ও গবেষণায় দেহ দান করার অঙ্গীকার করেছিলেন। এই ভাষাসৈনিকের নামে গড়ে ওঠা রফিক ফাউন্ডেশন জানায়, তার কফিনটি শোকাযাত্রার মাধ্যমে হাসপাতালে পৌঁছে। উল্লেখ্য, শনিবার ২ অক্টোবর রাতে তিনি রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যার কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্রনিক কিডনি ফেইলিওর, আলঝেইমার্স, পারকিনসন্স রোগ, ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স, বেডশোর এবং ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন। ১৯৫৮ সালে তার প্রথম প্রবন্ধের বই ‘শিল্প সংস্কৃতি জীবন’ প্রকাশিত হয়, এরপর থেকে লেখালেখিই তার জীবনের মূলধারায় বদলে গেছে। তিনি একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, রবীন্দ্রত্ত্বাচার্যসহ বেশ কিছু সম্মাননা লাভ করেছেন।