খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা অবরোধ কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) সংগঠনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্ত জানা যায়। এর আগে, ৫ অক্টোবর পর্যন্ত অবরোধ স্থগিত রাখা হয়েছিল। বিবৃতিতে জানানো হয়, শহীদদের ধর্মীয় সংস্কার অনুযায়ী পুণ্যকর্ম সম্পাদন, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা প্রদান এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে আংশিক আশ্বাসের ভিত্তিতে এই অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত ১ অক্টোবর, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় জুম্ম ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদল ৮ দফা দাবিসহ ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার, হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের জন্য সমর্থন জানায়। প্রশাসন আশ্বাস দেয়, উত্থাপিত দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে এবং ইতোমধ্যে নিহতের পরিবারকে নগদ ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, প্রশাসনের আংশিক আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ঘোষিত স্থগিত অবরুদ্ধ কর্মসূচি আমরা স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার করছি। তবে, যদি আমাদের ৮ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হয়, তবে আমরা আরও কঠোর ও অনির্দিষ্টকালের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করব। অন্যদিকে, ধর্ষণের অভিযোগে আটক শয়ন শীলের বাবার দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় খাগড়াছড়ি সদর থানায় অজ্ঞাত ৭০-৮০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা। তিনি এও জানিয়েছেন, ১৪৪ ধারা এখনও জারি রয়েছে, তবে দিনে-shিল থাকবে।