বিগত আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাখাতে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য জানা সত্ত্বেও তাদের দমন করার পরিবর্তে প্রोत्सাহিত করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। তিনি জানিয়েছেন, অতীতে শিক্ষা বিস্তারের নামে অসংখ্য অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর সাধারণ ও প্রকাশ্য হয়ে উঠেছিল। অপ্রয়োজনীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, মানহীন শিক্ষার জন্য চটকদার জিপিএ-৫ এর বাহুল্য, এবং শিক্ষাব্যবস্থার অবকাঠামোগত অনিয়ম রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছিল।
বিশেষ করে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার ক্ষেত্রে যোগ্য শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যেগুলি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। তবে সরকারের কর্তৃত্ববাদী দৃষ্টিভঙ্গি এই অনিয়মগুলো দমন করার বদলে উৎসাহ দিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক আবরার আরও বলছেন, শিক্ষা খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের পরিকল্পনা চলছে। তিনি জানান, শিক্ষামন্ত্রণালয় আজীবন অনিয়ম-দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে চায়, যা কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে প্রস্তুতি চলমান। তিনি সরকারকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, ইউজিসি চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের প্রধান সুজান ভাইজ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক গোলাম মুস্তাফা। নিষ্ঠা ও বিশ্লেষণমূলক আলোচনা উপভোগ করেন উপস্থিত অতিথিরা। এছাড়াও, ইসলামী আন্তর্জাতিক শিক্ষাবিষয়ক সংস্থার মহাপরিচালক ড. সেলিম এম আল মালিকও উপস্থিত ছিলেন।