ভারতের সামরিক নেতৃত্বের উসকানিমূলক মন্তব্যের প্রভাব স্পষ্টভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে। দেশটির সেনাবাহিনী ফের শোনা দিয়েছে, যদি দুই পরমাণুশক্তিধর দেশ আবার সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে এর ভয়াবহতা সামনের সব কিছুকে ছাপিয়ে যাবে। পাকিস্তান স্পষ্টভাবে বলছে, এবার তারা আর সংযম দেখাবে না। শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই কঠোর আশংকা ব্যক্ত করে, যা সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এর একদিন আগে, ভারতের সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী ইসলামাবাদকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ভারতের তিনি আর তেমন সংযম দেখাবে না। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, যদি পাকিস্তান “সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতা” চালিয়ে যায়, তবে দেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। গত বৃহস্পতিবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও এক সাক্ষাৎকারে বলেন, পাকিস্তান যদি সির ক্রিক সীমান্তে কোনো “অ্যাডভেঞ্চার” করে, তবে ভারতের কঠোর জবাব আসবে যা ইতিহাস এবং ভূগোলের বদলে দিতে পারে। সির ক্রিক হলো ভারতের গুজরাট ও পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মধ্যে অবস্থিত ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ বিতর্কিত উপসাগরীয় এলাকা। এর জবাবে পাকিস্তানও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় এবং বলে, ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক মন্তব্য করায় তারা গভীর উদ্বিগ্ন। বিবৃতিতে বলা হয়, ভবিষ্যতে যদি সংঘাত শুরু হয়, পাকিস্তান আর সংযম দেখাবে না। তারা দৃঢ়ভাবে পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আরও জানায়, তারা প্রতিপক্ষের ভূখণ্ডের কোন প্রান্ত পর্যন্ত পাল্টা হামলা চালানোর সক্ষমতা রাখে। এ ছাড়া, তারা দাবি করে, এবার ভারতের ভূগোলগত নিরাপত্তার ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত বছরে জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলার জন্য দুই দেশ মধ্যকার সংঘাত আরও বাড়ে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে, এরপর পাকিস্তানের ভূখণ্ডে অভিযানের নামে “অপারেশন সিন্দুর” চালানো হয়। পাকিস্তান ইসলামাবাদও পাল্টা “অপারেশন বুনিয়ানুন মারসুস” নামে জবাবে হামলা চালায়। চার দিনের এই সংঘর্ষ শেষে, ১০ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন।