অमेरিকার শিকাগো শহরে ন্যাশনাল গার্ডের ৩০০ সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলছেন, শহরটির পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এই খবর বিবিসি সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সেখানে অভিবাসন ও শুল্ক সংক্রান্ত সংস্থার দাবি, ডেমোক্র্যাট-নিয়ন্ত্রিত শহরটিতে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে সশস্ত্র একটি নারীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত নিলেন। ওই নারীসহ আরও কয়েকজন পুলিশ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যের গাড়িতে চাপা পড়া হয়েছিল।
তবে স্থানীয় নেতারা এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলছেন, এটি ক্ষমতার অপব্যবহার। ইলিনয়েসের গভর্নর জেবি প্রিটজজকার মন্তব্য করেছেন, ট্রাম্প এই সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন।
ওদিকে, ওরেগনের পোর্টল্যান্ডে এক ফেডারেল বিচারক ট্রাম্প প্রশাসনের ২০০ সেনা মোতায়েনের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর এই ঘোষণা আসে। বিচারক কারিন ইমারগুট পোর্টল্যান্ডের পরিস্থিতি নিয়ে ট্রাম্পের দাবিকে ‘তথ্যের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ সংবিধান লঙ্ঘন করেছে এবং অঙ্গরাজ্যগুলোর সার্বভৌমত্বের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। এর ফলে শহরে উত্তেজনা ও বিক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
শিকাগোতে ন্যাশনাল গার্ডের সেনারা কি পৌঁছেছেন বা পৌঁছাচ্ছেন কি-না সেই বিষয়টিও স্পষ্ট নয়, তবে এমন পদক্ষেপের ফলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ বাড়তে পারে।
আদালতের এই সিদ্ধান্ত ও আইনগত প্রশ্নের পাশাপাশি, জানা গেছে যে, সাধারণত ন্যাশনাল গার্ডের সেনারা কোনও অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের নির্দেশে মোতায়েন হন। শতাব্দীব্যাপী প্রচলিত আইন অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের সামরিক বাহিনীর ব্যবহার সীমিত।
এর মাঝেই, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন ও শুল্ক সংস্থার (আইসিই) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। কিছু জায়গায় এই বিক্ষোভ প্রত্যক্ষ করেছেন রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। মূলত লস অ্যাঞ্জেলেসে শুরু হওয়া এই আন্দোলন এখন নিউইয়র্ক, শিকাগো, টেক্সাস, সান ফ্রান্সিসকোসহ বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়েছে।