নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্তৃত্ব বজায় রাখতে ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন ২০০৯’ সংশোধন করে একটি নতুন অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এতে জানান হয়েছে যে, জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব এখন থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের হাতে থাকবে। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে রবিবার রাতের দিকে এ অধ্যাদেশ বাস্তবায়ন করা হয়, যা আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হয়েছে।
প্রথমে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের অনুমোদন লাভের মাধ্যমে এই সংশোধনী অনুমোদিত হয়। জানানো হয়, এই অধ্যাদেশে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯ এর দুইটি ধারা সংশোধন করা হয়েছে। এর মধ্যে একটির মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়-সংক্রান্ত ধারা ৩ এর উপধারা (৪) বদলে একটি নতুন ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠনের কথা বলা হয়েছে।
অপরদিকে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্ব সংক্রান্ত ধারা ৪ এর উপধারা (২)-এ নতুন দফা যোগ করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণ’ এই দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে এনআইডির কার্যক্রম ইসি কর্তৃক পরিচালিত হবে, তবে ২০২৩ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়া এনআইডি কার্যক্রম বাতিল করে সেই দায়িত্ব পুনরায় মন্ত্রণালয়ের হাতে যায়। এর আগে, আওয়ামী লীগ সরকার ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩’ এর মাধ্যমে এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে নেয়, যদিও ইসি তার স্বাধীনতা বজায় রাখতে বরাবরই এ বিভাগে নিজস্ব অধিকার চেয়েছে এবং ওই আইনের বাতিলের সুপারিশ করেছিল।