আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের বিষয় নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ মন্তব্য করেছেন, যদি এই দুই কার্যক্রম এক সঙ্গে সম্পন্ন হয়, তাহলে সময়ের সাশ্রয় হবে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে। তিনি সোমবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাগরিক যুব ঐক্যের আয়োজিত এক আলোচনায় এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, সরকার যদি অধ্যাদেশ জারি করে গণভোটের জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব দেন, তাহলে এটা একটি কার্যকর উপায় হবে। তার মতে, দুটি আলাদা ব্যালটে নির্বাচন করলে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে—তা ঠিক নয়। তিনি উল্লেখ করেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তিনটি ব্যালটে ভোট দেওয়া হয়, তাই সংসদ নির্বাচন ও গণভোটেও মানুষ দুধে-ভাতে অংশগ্রহণ করবে। শুধু নির্বাচনী প্রচারণার ওপর 집중 করতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি বড় ধরনের আয়োজনে হচ্ছে, আর গণভোটের জন্য আলাদা প্রস্তুতি না নিয়ে যদি একই সময়ে তার আয়োজন করা হয়, তাহলে নির্বাচন বিলম্বের ঝুঁকি কমবে। যারা এই পরিকল্পনা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তাদের প্রত্যাশা করেন, তাদের বুদ্ধিরো উদয় হয়।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, সুবেহ সাদিকের আলোর মধ্যে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর মিছিলের ছবি বা বাইরে থেকে পাঠানো বার্তা জনগণ দৃষ্টি দেয় না। ফ্যাসিবাদের বিরোধী ঐক্য অটুট থাকলে, কোনো সংকটে পড়বে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক ও ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে শক্তিমত্তার সঙ্গে দাঁড়ানো হলে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাছাড়া, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের জন্য নির্বাহী নির্দেশনার কার্যকলাপ ভবিষ্যতের জন্য খুবই ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে, তাই এই ধরনের উদ্যোগ থেকে বিরত থাকতে সবাই আহ্বান জানিয়েছেন।