সোনার দাম প্রতি দিনই লাফিয়ে বেড়ে চলছে, যার ফলে বিশ্বের বাজারে নতুন একটি ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্স সোনার মূল্য ৩ হাজার ৯০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এই বিশাল বৃদ্ধি দেশের বাজারেও সোনার দামের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, যার ফলে ভবিষ্যতে সোনার ভরি মূল্য দুই লাখ টাকা ছুঁতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্ববাজারে গত জুলাই মাস থেকে সোনার দামে ধারাবাহিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে এক দেড় মাসের মধ্যে এই দাম বৃদ্ধির গতি অনেক গড়িয়ে গেছে; দেড় মাসের মধ্যে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ৬০০ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে দেশের বাজারেও একাধিক দফায় সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে, যা নতুন উচ্চতা নির্ধারণে সহায়ক হয়েছে। বর্তমানে উন্নত মানের এক ভরি সোনার দাম প্রায় ২ লাখ টাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
অধিকতর তথ্য পর্যালোচনা করে জানা গেছে, দেশের বাজারে এখন পর্যন্ত এক ভরি ভালো মানের সোনার সর্বোচ্চ দাম নির্ধারিত হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৫৯ টাকায়। গত ৫ অক্টোবর এই দাম পুনরায় নির্ধারিত হয়, যেখানে ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ২ হাজার ১৯২ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৭৬ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। অন্যদিকে, ২১ ক্যারেটের সোনার মূল্য ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯৫ টাকায় পৌঁছেছে, ১৮ ক্যারেটের ক্ষেত্রে দাম বেড়ে ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৫১ টাকা হয়েছে এবং সনাতন পদ্ধতিতে এক ভরি সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৩ টাকায়।
বিশ্ববাজারে এক আউন্স সোনার দাম তখন ছিল ৩ হাজার ৮৮৬ ডলার। কিন্তু বর্তমানে এই দাম অনেক গড়িয়ে গেছে এবং এক আউন্স সোনার দাম এখন ৩ হাজার ৯৩৮ ডলারে পৌঁছেছে, যা আগে কখনো হয়নি। এখনও পর্যন্ত প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই দাম আরও ৫১ ডলার বেড়ে পৌঁছেছে।
বাজুসের এক সদস্য জানিয়েছেন, বিশ্ববাজারে যেভাবে সোনার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে আমাদের দেশে বাধ্য হয়েই দাম বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, যদি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তবে দেশের বাজারে সোনার ভরি দাম দেড় থেকে দুই লাখের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। এই দাম বাড়ার জন্য একটি স্ট্যান্ডিং কমিটি খুব শিগগিরই বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে। এবিষয়ে এখনই আঁচ করা যাচ্ছে, সোনার দামের এই অবস্থা থেকে দেশের বাজারেও দাম আরও বৃদ্ধি পাবে। এই দামের নির্ধারণে মূল ভূমিকা রাখবে বাজুসের প্রাইস মনিটরিং কমিটি।