বিসিবির এই নির্বাচন কৌশলগত দিক থেকে বেশ আলোচিত ও বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল। শুরুর দিকে, কাউন্সিলর মনোনয়ন সহ বিভিন্ন গৃহীত সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। বিশেষ করে, সভাপতি বুলবুল কর্তৃক স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে কাউন্সিলর পাঠানোর ঘটনা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়, যেখানে অনেকের দাবি ছিল এটি অনৈতিক। তবে, বুলবুল জানান, তিনি একক ক্ষমতা ঘটনাটি করেছেন, আর তিনি সবাইকে সার্বজনীনভাবে জানিয়ে শুনিয়েছেন। তার ভাষায়, ‘আমি চিঠি দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, যারা ক্রিকেট সংগঠক ও খেলেছেন, তারা যেন কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়।’ এরপর, ১৫টি ক্লাবের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। আদালতে যান সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ, যেখানে আদালত ভোটাধিকার বন্ধ করে দেয়। তখন, তামিম ইকবাল ও তার সঙ্গী প্রার্থীরা নিজ নিজ নাম প্রত্যাহার করেন। তবে, কিছু প্রার্থী, যারা ভোটের মধ্যে অংশ নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ইফতেখার রহমান মিঠুও রয়েছেন। আদালতের রায় অনুযায়ী, ১৫টি ক্লাবের ভোটাধিকার আবারও ফিরে আসে। অন্যদিকে, কয়েকজন প্রার্থী আবার নির্বাচনে ফেরার চেষ্টা করেন। এই পরিস্থিতিতে, ক্রিকেট সংস্থাগুলোর মধ্যে নানা সমঝোতা ও আলোচনা চলছিল। সম্প্রতি, তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সমস্যাগুলোর জন্য স্মারকলিপি ও চিঠি দিয়েছেন, যাতে বোর্ডের এই অস্থিরতা ও হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ জানানো হয়। প্রতীক্ষায় রয়েছে আজকের ফলাফল, যা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়।