সোনার দামে ক্রমাগত বেড়ে চলা দিচ্ছে নতুন এক নজির। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রথমবারের মতো ৩ হাজার ৯০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা ইতিহাসে এক নতুন রেকর্ড। এর ফলে দেশের বাজারেও সোনার মূল্য আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছে বাজার বিশ্লেষকরা। শনিবার পর্যন্ত বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৩ হাজার ৯৩৮ ডলারে পৌঁছেছে, যেখানে এর আগে কখনো এত দাম দেখা যায়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে দেশের বাজারে সোনার মূল্য যে কোনও সময় নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে। দেশীয় বাজারে বর্তমানে এক ভরি ভালো মানের সোনার গড় দাম প্রায় ২ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে সম্প্রতি বিভিন্ন দফায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে দেশের সর্বোচ্চ মূল্য পৌঁছেছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৫৯ টাকায়।
জাতীয় মুক্তবাজার উদ্ধার কমিটি বা বাজুসের একজন সদস্য জানিয়েছেন, বিশ্ববাজারে যা পরিস্থিতি, তাতে দেশের বাজারেও সোনার দাম আর সমান থাকা সম্ভব নয়। তিনি বলেছেন, বাজারের বর্তমান দামে তেলের মতোই তেজি মূল্যবৃদ্ধি চলছে, ফলে খুব শিগগিরই দেশের বাজারে দর আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি বা মূল্য নির্ধারণকারী কমিটি সন্ধ্যায় বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে, কে কতটা দাম বাড়ানো হবে।
গত ৫ অক্টোবর, বাংলাদেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ১৯২ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৭৬ টাকায়। অন্যদিকে, ২১ ক্যারেটের সোনার দাম ২ হাজার ৯৯ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯৫ টাকায় পৌঁছেছে। তাছাড়া, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৯৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৫১ টাকা নির্ধারণ হয়েছে। সনাতন পদ্ধতিতে সোনার মূল্য নির্ধারণে প্রতি ভরি দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৩ টাকায়।
বিশ্ববাজারে বর্তমানে এক আউন্স সোনার দাম ৩ হাজার ৯০০ ডলারের ওপরে চলে গেছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। এর ফলে মূল্যবৃদ্ধির এই ধারা চলমান থাকলে, দেশের বাজারে সোনার মূল্য আরও গগনচুম্বী হতে পারে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে দেশের সোনার মূল্য আরও বাড়তে পারে। তবে, এই মূল্যবৃদ্ধির সঠিক দিশা নির্ধারণ করবে মূল্য নির্ধারণী কমিটি।