বিশ্ব ডাক দিবস আজ। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এই বিশেষ দিবসটি নানা আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপন করা হচ্ছে। দেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এই দিনের গুরুত্ব এবং আধুনিক ডাক ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরছে।
বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ডাক বিভাগ একটি দুই দিনব্যাপী ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাক ভবনে। এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো জনগণের সাথে সরকারের সংযোগ আরও সুদৃঢ় করা, টেকসই উন্নয়নের জন্য ডাকসেবার ভূমিকা 강조 করা এবং আধুনিক ও ডিজিটাল ডাক ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা।
এ বছর বিশ্ব ডাক দিবসের প্রতিপাদ্য হলো— “জনগণের জন্য ডাক: স্থানীয় পরিষেবা, বৈশ্বিক পরিসর”। এই থিমের মাধ্যমে দেশের ডাক সেবার ডিজিটাল রূপান্তর ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হচ্ছে, যা সাধারণ জনগণের জীবন মান উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
অতিরিক্তভাবে, বুধবার বিকেলে ডাক ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টা ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বক্তব্য রাখেন। তিনি এই দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খান, আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।
প্রথম দিনে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ডাক ভবনের প্রাঙ্গণ থেকে একটি রঙিন শোভাযাত্রা বের হয়, যা আগারগাঁওসহ আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। বিকেল ৩:৩০টায় অনুষ্ঠিত হয় ‘আগামীর ভাবনায় ডাক’ শীর্ষক সেমিনার, যেখানে ডাক সেবার ডিজিটাল রূপান্তর ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা মতবিনিময় করেন।
দ্বিতীয় দিনে, শুক্রবার সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। পরে বিকেলে আয়োজন করা হবে পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তদারকিপ্রাপ্ত উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আলোচনার পাশাপাশি এই দিবসের স্মারক হিসেবে নতুন একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করা হবে, যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই সব আয়োজনের মাধ্যমেই বাংলাদেশের ডাক খাতে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হচ্ছে।