বাংলাদেশি সাংবাদিক ও লেখক শহিদুল আলম ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে অপহৃত হওয়ার পর থেকে তার মুক্তির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইসরায়েলে আটক এই মানবাধিকারকর্মীর মুক্তির জন্য তুরস্কের সহযোগিতা লাভে বিশেষ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তুর্কি কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করেন, আজকের মধ্যে তাঁকে বিশেষ বিমানযোগে আঙ্কারায় নিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এই ব্যাপারে তারা ספק থাকছেন।
আন্তর্জাতিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমানুল হক বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এরপর, বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনীর অবৈধ আটকানোর পর শহিদুল আলমের মুক্তির জন্য জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা দেশগুলোতে থাকা সংশ্লিষ্ট পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। দূতাবাসগুলো দ্রুত ব্যবস্থা নিতে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রেখেছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের জলসীমা থেকে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নামে নৌযানটি আটক করা নিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলো—ইতালি, গ্রিস, স্পেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ডসহ তুরস্ক—আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দেশে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। মালয়েশিয়া, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া সহ আরও কিছু দেশেও এই ঘটনার কড়া সমালোচনা হয়েছে। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক স্তরে তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান গাজার উদ্দেশে যাওয়া মানবিক নৌবাহর (সুমুদ ফ্লোটিলা) আটককে দস্যুতা বলে অভিহিত করেছেন। তিনি এক সমাবেশে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক জলসীমায় এই অভিযান গাজায় গণহত্যার দায় ঢাকতে ইসরায়েলি বাহিনীর পাগলামোই প্রমাণ করে।’ এই ঘটনার তীব্র النقد করে তিনি বলেছেন, এ আচরণ গাজার ওপর চলমান গণহত্যার জন্য দায়ী।
আজকের খবর / বিএস