শ্যারন স্টোন, হলিউডের একজন জনপ্রিয় তারকা, যিনি ১৯৯০ এর দশকে ‘সেক্স সিম্বল’ হিসেবে পরিচিতি পান। তার ‘বেসিক ইনস্টিংক্ট’ চলচ্চিত্রটি দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল, যেখানে তাঁর যৌন আবেদনময়ী চরিত্রের জন্য তিনি বেশ প্রশংসিত হন। তবে সম্প্রতি শ্যারন নিজের জীবনের একটি অজানা ঘটনা প্রকাশ করে মনোভাব বদলে দিয়েছেন।
সাম্প্রতিক এক পডকাস্টে শ্যারন বলেছিলেন, ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায় তার সিনেমা ‘সিলভার’। এর শুটিংয়ের সময় তিনি একটি বিস্ফোরক অভিযোগ করেন, যেখানে তিনি জানান যে, সেই বছর তার এক প্রযোজক রবার্ট ইভানস তাকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে নিয়ে যান। তিনি তাকে নায়কের বিছানায় যেতে বাধ্য করার চেষ্টা করেছিলেন। শ্যারনের দাবি, এই প্রযোজকটি বলেছিলেন, সিনেমার দৃশ্যগুলো আরও আকর্ষণীয় করতে হলে তাকে নায়কের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। তিনি এই প্রস্তাব না মানায় সিনেমার প্রচার ও স্বাচ্ছন্দ্য রক্ষার জন্য এই পথটাই একমাত্র সমাধান বলে মনে করেছিলেন।
শ্যারন এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন, এবং সেই ঘটনার পর থেকে তিনি এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। এই ঘটনা ঘটে যখন তিনি ‘সিলভার’ সিনেমার শুটিংরত ছিলেন। উল্লেখ্য, এই প্রযোজক রবার্ট ইভানস ২০১৯ সালে মারা গেছেন। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও মন্তব্য আসেনি, কিন্তু অভিনেতা বিলি বাল্ডউইন এই ব্যাপারে মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি শ্যারনের অভিযোগকে উসকে দিয়ে বলে, ‘কেন শ্যারন এত বছর পরে আমাকে নিয়ে কথা বলেন?’. তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, এখনও তার মনে কোনও ক্রাশ আছে, নাকি আমাকে উন্নতি করলে সে কষ্ট পেয়েছে।’ শেষে তিনি শ্যারনের গোপন তথ্য ফাঁসের হুঁশিয়ারিও দেন।
শ্যারন স্টোন ক্যাসিনো ও বেসিক ইনস্টিংক্টের মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ৯০-এর দশকের আইকন হিসাবে পরিগণিত। তার ক্যারিয়ারে তিনি অসংখ্য চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন এবং গোল্ডেন গ্লোব ও এমি পুরস্কার লাভ করেছেন। ২০০৫ সালে ফ্রান্স সরকার তাকে ‘অদ্রে দে আর্ত এ দে লেত্রে’ উপাধিতে ভূষিত করে। ২০০৪ সালে স্বামী রন ব্রনস্টেইনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আর বিয়ের কোনও পরিকল্পনা করেননি তিনি।
আজকের খবর/বিএস