দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য আবারো নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, যেখানে স্বর্ণের দাম একদিনের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৃদ্ধি এর ফলে সর্বোচ্চ স্তরে গিয়ে পৌঁছেছে স্বর্ণের দাম, যা স্বর্ণদর্শকদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের শীর্ষ মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪৬৯ টাকা, যা এনে দিয়েছে নতুন রেকর্ড। এখন ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারিত হয়েছে ২ লাখ ০২ হাজার ১৯৫ টাকা। একই সঙ্গে বেড়েছে রুপার দামও। আজকের এই দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আগামী ৮ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে বাজারের চাহিদা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং এর বৈঠকে এই দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে সংগঠনের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য প্রকাশিত হয়।
এর আগে, গত ৬ অক্টোবর স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছিল, যেখানে ভারতীয় মান অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ছিল ২ লাখ ৭২৬ টাকা, যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড। বর্তমানে এই নতুন বৃদ্ধি সেই রেকর্ডও ছুঁয়ে ফেলেছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, বিভিন্ন ক্যারেটের স্বর্ণের দাম এইভাবে নির্ধারিত হয়েছে: ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি এখন ২ লাখ ০২ হাজার ১৯৫ টাকা (আসলে ১৪৬৯ টাকা বাড়তি), ২১ ক্যারেটের জন্য ১৯৩,০৪০ টাকা, যা আগের তুলনায় ১৩৯৯ টাকা বেশি। ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম এখন ১৬৫,৪৩০ টাকা, ১২৭০০২ টাকা বাড়িয়ে। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে, এখন ১৩৭,৪৭২ টাকা।
উল্লেখ্য, পূর্বে সেই দিনগুলোতে, অর্থাৎ ৫ ও ৬ অক্টোবর, স্বর্ণের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। ৫ অক্টোবর, ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৯৭,৫৭৬ টাকা তে দাঁড়িয়েছিল, যা পূর্বের তুলনায় ২ হাজার ১৯২ টাকা বেড়ে। একইভাবে অন্যান্য ক্যারেটের দামও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
অন্যদিকে, রুপার দামও বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে শুভ মানের ২২ ক্যারেটের রুপার দাম নির্ধারিত হয়েছে ৪ হাজার ৬৫৪ টাকা, যেখানে আগের দাম ছিল ৩ হাজার ৬২৮ টাকা। অন্যান্য ক্যারেটের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে, যেমন ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ৩ হাজার ৪৪৪ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের ৩ হাজার ৮০২ টাকা। সনাতন পদ্ধতিতে রুপার মূল্য এখন ২ হাজার ৮৫৮ টাকা। এর আগে, এই দামগুলি ছিল যথাক্রমে ৩ হাজার ৬২৮, ৩ হাজার ৪৫৩, ২ হাজার ৯৬৩ এবং ২ হাজার ২২৮ টাকা।
সম্পূর্ণ এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে স্বর্ণ ও রুপার বিক্রয় বাজারে কেমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, এই দামের পরিবর্তন বাজারের চাহিদা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ফলাফল। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের এই উঠতি চাহিদার কারণে অস্থিরতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য মূল্য নির্ধারনে নজরদারির প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে।